বাণী

হোক প্রবুদ্ধ সঙ্ঘবন্ধ মোদের মহাভারত হোক সার্থক নাম।
হোক এই জাতি ধর্মে এক, কর্মে এক, মর্মে এক — 
এক লক্ষ্যে মধুর সখ্যে,
পূর্ণ হউক পূর্ণ হউক আর্যাবর্তধাম।।

নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’

বাণী

(হায়) 	তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা।
	বুঝি পাব না তোমায় জীবনে বুঝি এই নিয়তির লেখা।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

কে এলে হংস-রথে, কোথা যাও?
তার লিপি এনেছ কি? দাও মোরে দাও।।
যা’র বিরহে মোর হৃদয়-কমল
অশ্রু-সরসী-নীরে কাঁপে টলমল,
শুনেছি তার সাথে তুমি কথা কও —
কার কথা হয় সেথা — শোনাও শোনাও।।
আনন্দ-দূত তুমি, লিপি আন নাই?
দেখিতে কি আসিয়াছ — কত দুঃখ পাই?
সে এত প্রেম দিয়ে কেন লুকিয়ে থাকে
কেন দেখা দেয় না এত যে ডাকে,
কেন মোর আর ভালো লাগে না কিছুই?
মনে ক’রে বলো যদি তার দেখা পাও।।

বাণী

লহ সালাম লহ, দ্বীনের বাদশাহ, জয় আখেরি নবী।
পীড়িত জনগণে মুক্তি দিতে এলে হে নবীকুলের রবি।।
	তুমি আসার আগে ধরার মজলুম
	করিত ফরিয়াদ, চোখে ছিল না ঘুম,
ধরার জিন্দানে, বন্দী ইনসানে আজাদি দিতে এলে হে প্রিয় আল-আরবি।।
	তব দামন ধরি’ যত গোনাহগার,
	মাগিল আশ্রয়, তুমিই করিবে পার।
	মানুষ ছিল আগে বন্য পশু প্রায়
	কাঁদিত পাপে তাপে অভাব ও বেদনায়,
শান্তি-দাতা রূপে সহসা এলে তুমি ফুটিল দুনিয়াতে নব বেহেশ্‌তের ছবি।।

বাণী

আয় সবে ভাই বোন
আয় সবে আয় শোন্ 
	পদধূলি শিরে লয়ে মা’র।
মা’র বড় কেহ নাই
কেহ নাই, কেহ নাই,
	নত করি’ বল সবে — ‘মা আমার! মা আমার!’

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘মাতৃস্তোত্র’

বাণী

আজিকে তোমারে স্মরণ করি’
মৃত্যু আড়ালে জীবন তোমার
	ওঠে অপরূপ মহিমায় ভরি’।।
জীবন তোমার তটিনীর মত
বয়ে গেছে বাধা উপল-আহত
আত্মারে রাখি চির জাগ্রত
	অম্বরে শির রেখেছিলে ধরি’।।
তোমার এ স্মৃতি বাসরে আমরা
	তোমারে শ্রদ্ধা তর্পণ দানি,
তোমার ধর্ম তোমার কর্ম
	দিক অভিনব মহিমা আনি।
এসো আমাদের করুণ স্মৃতিতে
নয়নের জলে বিষাদিত চিতে
জীবনের পরপার হতে
	পড়ুক আশিস সান্ত্বনা বারি।।