মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর
বাণী
মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর নমো নম, নমো নম, নমো নম। শ্রাবণ-মেঘে নাচে নটবর রমঝম, রমঝম, ঝমরম (ঝমঝম, রমঝম, রমঝম)।। শিয়রে বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন মোর বিকশিল আবেশে তনু নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম।। মোর ফুলবনে ছিল যত ফুল ভরি ডালি দিনু ঢালি’ দেবতা মোর হায় নিলে না সে ফুল, ছি ছি বেভুল, নিলে তুলি’ খোঁপা খুলি’ কুসুম-ডোর। স্বপনে কী যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি’ জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম, প্রিয়তম, প্রিয়তম।।
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
বাণী
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা তোরেই সে ডোর খুলতে হবে। খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর (আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।। ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয় মনের কালিমা অমনি হয় লয়, অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়; আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।। শত অপরাধ করে দিনের খেলায় ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়; সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি, মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি। আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।
মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি
বাণী
মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি। যে মাটির বুকে আছে পাকা ধানের সোনার কাঠি॥ ফসল বুনে রোদের তাতে উঠি যখন ঘেমে সদয় হয়ে আকাশ বেয়ে বৃষ্টি আসে নেমে (ওরে) মুচকি হেসে বৌ এনে দেয় পান্তা ভাতের বাটি॥ আশ মেটে না চারা ধানের পানে চেয়ে চেয়ে মরাই ভ’রে থাকবে ওরাই আমার ছেলে মেয়ে। (আমি) চাই না স্বর্গ, পাই যদি এই পাকা ধানের আটি (রে ভাই)॥ জল নিতে যায় আড়চোখে চায় বৌ-ঝি নদীর কূলে খুশিতে বুক ভ’রে ওঠে, খাটুনি যাই ভুলে। এ মাঠ নয় ভাই বৌ পেতেছে ঠান্ডা শীতল পাটি॥
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
বাণী
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা। কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥ মেঘ-নটীর নূপুর ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর, শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥ ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি। আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥ জলদ-মৃদঙ বাজে গভীর ঘন আওয়াজে, বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
মুরলী শিখিব ব'লে এসেছি কদম্ব তলে
বাণী
মুরলী শিখিব ব'লে এসেছি কদম্ব তলে মুরলীধারী মুরলী শিখাও হে কোন সুরে মধু-মাধবী ফোটে কোন সুরে রাধা নাম ওঠে মাধব হে! বাঁশির কোন সুরে উদাসী করে প্রাণ দাসী করে, মাধব হে — দেহ ময়ুর নাচে কোন সুর শুনিয়া মন-পাপিয়া গেয়ে ওঠে পিয়া পিয়া মোরে শিখাও সে সুর হে — যে সুরে তুমি নাচিবে, পিয়া ব'লে ডাকিবে মোরে শিখাও সে সুর হে বঁধু যে সুরে কেবল তব সাথে ভাব হয় অভাব রয় না আমি সেই সুর শিখিব যে সুর কৃষ্ণ ছাড়া কোন কথা কয় না কেন ছলছল চোখে চাও মুরলী শিখাও কেন হাত কাপে রসময়। যে সুর তোমার অধর পরশ লাগে সেই বেনু যেন চিরদিন রাধারই রয় বেনু শিখাও হে মোর দেহ মন ধায় যেন ধেনু সম তব পানে বেণু শিখাও হে।।