বাণী

মেরে শ্রীকৃষ্ণ ধরম শ্রীকৃষ্ণ করম শ্রীকৃষ্ণহি তন-মন-প্রাণ।
সব্‌সে নিয়ারে পিয়ারে শ্রীকৃষ্ণজী নয়নুঁকে তারে সমান॥
দুখ সুখ সব শ্রীকৃষ্ণ মাধব কৃষ্ণহি আত্মা জ্ঞান
কৃষ্ণ কণ্ঠহার আঁখকে কাজর কৃষ্ণ হৃদয়মে ধ্যান
শ্রীকৃষ্ণ ভাষা শ্রীকৃষ্ণ আশা মিটায়ে পিয়াস উয়ো নাম (মেরে)
স্বামী-সখা-পিতা-মাতা শ্রীকৃষ্ণজী ভ্রাতা-বন্ধু-সন্তান॥

বাণী

মোরে পূজারি কর তোমার ঠাকুর ঘরে হে ত্রিজগতের নাথ।
মোর সকল দেহ লুটাক তোমার পায়ে (হয়ে) একটি প্রণিপাত।।
	নিত্য যেন তোমারি মন্দিরে
	চিত্ত আমার ব্যাকুল হয়ে ফিরে
গ্রহ যেমন সূর্যলোক ঘিরে ঘুরে দিবস রাত।।
মোর নয়ন যেন তোমারি রূপ হেরে সকল দেখার মাঝে
যেন এ রসনা জপে তোমারি নাম হে নাথ সকল কাজে।
	তোমার চরণ রয় যে শতদলে
	তারি পানে মোর মন যেন চলে
নিত্য তোমায় নমস্কারের ছলে (যেন) যুক্ত থাকে হাত।।

বাণী

	মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা।
কে	দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥
		মেঘ-নটীর নূপুর
		ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর,
	শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥
	ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী
	বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি।
আজ	ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥
		জলদ-মৃদঙ বাজে
		গভীর ঘন আওয়াজে,
	বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥

বাণী

মদির স্বপনে মম বন-ভবনে
জাগো চঞ্চলা বাসন্তিকা, ওগো ক্ষণিকা।।
মোর গগনের উল্কার প্রায়
চমকি ক্ষণেক চকিতে মিলায়
তোমার হাসির যুঁই-কণিকা।।
পুষ্প ধনু তব মন-রাঙানো
বঙ্কিম ভুরু হানো হানো।
তোমার উতল উত্তরীয়
আমার চোখে ছুঁইয়ে দিও (প্রিয়)
আমি হব (ওগো) তোমার মালার মণিকা।।

বাণী

মনে রাখার দিন গিয়েছে এখন ভোলার বেলা
আর লাগে না ভালো আমার হৃদয় নিয়ে খেলা।।
	লগ্ন ছিল ছিল সময়
	পরান ভরা চিল প্রণয়,
সেদিন যদি আসতে মলয় বসতো ফুলের মেলা।।
সুকুমার সুন্দর যাহা চিল আমার মাঝে
গেছে ম'রে নিরাশাতে ঝ'রে গেছে লাজে।
	আজ উদাসীন শূন্য মনে
	ঘুরে বেড়াই অকারণে
তোমার চেয়েও আমি আমায় হানি অবহেলা।।

বাণী

	মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন।
	সুন্দরতর হ’ল নিখিল ভুবন।।
আজি	কপোত-কপোতী শ্রবণে কুহরে,
	বীণা বেণু বাজে বন-মর্মরে।
	নির্ঝর-ধারে সুধা চোখে মুখে ঝরে,
	নূতন জগৎ মোরা করেছি সৃজন।।
	মরিতে চাহি না, পেয়ে জীবন-অমিয়া!
	আসিব এ কুটিরে আবার জনমিয়া।
	আরো চাই আরো চাই অশেষ জীবন।।
আজি	প্রদীপ-বন্দিনী আলোক-কন্যা,
	লক্ষ্মীর শ্রী লয়ে আসিল অরণ্যা,
	মঙ্গল-ঘটে এলো নদীজল-বন্যা,
	পার্বতী পরিয়াছে গৌরী-ভূষণ।।