মালা গাঁথা শেষ না হ’তে
বাণী
মালা গাঁথা শেষ না হ’তে তুমি এলে ঘরে। শূন্য হাতে তোমায় বরণ করব কেমন ক’রে।। লজ্জা পাবার অবসর মোর দিলে না হে চঞ্চল, চোর সজ্জা-বিহীন মলিন তনু দেখলে নয়ন ভ’রে।। বিফল মালার ফুলগুলি হায় কোথায় এখন রাখি, ক্ষণিক দাঁড়াও, ঐ কুসুমে (তোমার) চরণ দু’টি ঢাকি। আকুল কেশে পা মুছিয়ে করব বাতাস আঁচল দিয়ে, (মোর) নয়ন হবে আরতি-দীপ তোমার পূজার তরে।।
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
বাণী
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা তোরেই সে ডোর খুলতে হবে। খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর (আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।। ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয় মনের কালিমা অমনি হয় লয়, অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়; আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।। শত অপরাধ করে দিনের খেলায় ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়; সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি, মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি। আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
বাণী
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা। কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥ মেঘ-নটীর নূপুর ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর, শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥ ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি। আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥ জলদ-মৃদঙ বাজে গভীর ঘন আওয়াজে, বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান চল নামাজে চল্
বাণী
মসজিদে ঐ শোন্ রে আজান, চল নামাজে চল্ । দুঃখে পাবি সান্ত্বনা তুই বক্ষে পাবি বল।। ময়লা-মাটি লাগবে যা তোর দেহ-মনের মাঝে — সাফ হবে সব, দাঁড়াবি তুই যেম্নি জায়নামাজে; (চল্) রোজগার তুই করবি যদি আখেরের ফসল।। হাজার কাজের অছিলাতে নামাজ করিস কাজা খাজনা তারি দিলি না, যে দ্বীন-দুনিয়ার রাজা তাঁরে পাঁচ বার তুই করবি মনে, তাতেও এত ছল্।। কার তরে তুই মরিস খেটে; কে হবে তোর সাথী বে-নামাজীর আঁধার গোরে কে জ্বালাবে বাতি (চল্) খোদার নামে শির লুটায়ে জীবন কর্ সফল।।
মেঘ-বরণ কন্যা থাকে মেঘলামতীর দেশে
বাণী
মেঘ-বরণ কন্যা থাকে মেঘলামতীর দেশে (রে) সেই দেশে মেঘ জল ঢালিও তাহার আকুল কেশে।। তাহার কালো চোখের কাজল শাওন মেঘের চেয়ে শ্যামল চাউনিতে তার বিজলি ছড়ায় চমক বেড়ায় ভেসে (রে)।। সে ব’সে থাকে পা ডুবিয়ে ঘুমতী নদীর জলে কভু দাঁড়িয়ে থাকে ছবির মত একলা তরু-তলে (রে)। কদম ফুলের মালা গেঁথে ছড়িয়ে সে দেয় ধানের ক্ষেতে তারে দেখতে পেলে আমার কথা (তারে) কইও ভালোবেসে।।