মাধব বংশীধারী বনওয়ারী
বাণী
মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী। গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।। কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে, কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে, কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।। কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা, পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী, পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।
মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি
বাণী
পুরুষ : মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে। স্ত্রী : ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ — তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।। পুরুষ : মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু — চাই না আমি সে মধু; স্ত্রী : চাইনে চাইনে বঁধু — তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই। পুরুষ : স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।। উভয়ে : চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে জোছনায় ভেসে — নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।
মাকে আদর করে কালী বলি
বাণী
মাকে আদর করে কালী বলি সে সত্যি কালো নয় রে। তার ঈষৎ হাসির এক ঝলকে জগৎ আলো হয় রে, ত্রি-জগৎ আলো হয় রে।। (কালো নয় কালো নয়, চরণে যার মহাকাল পায়ের নখে চাঁদের মালা, কালো নয় কালো নয়) সত্যি কালো নয় রে।। (আমরা) আপনভোলা পাগলী গিরিবালা মুন্ডামালায় মনে করে কুন্দফুলের মালা; (রয়) মরা-ছেলে বুকের ধ’রে শ্মশানে তন্ময় রে, রয় শ্মশানে তন্ময় রে। শ্মশানে সে থাকে ব’লে ভয়ঙ্করী নয় রে! (ভবের) খেলা-শেষে সকলেরে দেয় সে বরাভয় রে।। (সে) মারে যাকে, মালা করে তারেও পরে রয় রে! (সেই) তামসিকও যায়রে তরে (মাকে) তামসী যে কয় রে।।