

মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।। এক সে আকাশ মায়ের কোলে যেন রবি শশী দোলে, এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।। এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল, এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল। এক সে দেশের মাটিতে পাই কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।।
নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ কাহার্বা
We are buds of the same stalk, Hindus and Muslims
If the Muslim be the apple of one’s eye, the Hindu their life
They are sun and the moon in the sky-like expanse of same mother’s lap
Blood flows in their veins alike, tied to the same umbilical cord
We wallow alike in the breeze of the nation, we drink the same water
We plant same blooms of flower in the fertile bosom of our motherland
When life rests forever, one being interred, the other, cremated
We return to the elements of the same motherland
We call our mother in the same tongue,
We sing the same songs!
মালঞ্চে আজ কাহার যাওয়া আসা। ঝরা পাতায় বাজে মৃদুল তাহার পায়ের ভাষা।। আসার কথা জানায় ঐ যে ফুলের আখর সবুজ পাতায়, ঐ দোয়েল শ্যামার কূজন কয় যে বাণী ঐ ঐ তার ভালোবাসা।। মদির সমীরণে তনুর সুবাস পাই যে ক্ষণে ক্ষণে, সবুজ বসন ফেলি’ পরল ঐ বন কুস্মী রাঙা চেলি। তাই বসুন্ধরায় জাগে অরুণ আশা — ঐ ঐ যে আলোকের পিপাসা।।
রাগঃ খাম্বাজ
তালঃ দাদ্রা
মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি। তুমি ব্রজের বালারে রাই কিশোরীরে ভুলাইলে যেই রূপ ধরি’।। হরি বাজায়ো বাঁশরি সেই সাথে, যে বাঁশি শুনিয়া ধেনু গোঠে যেত উজান বহিত যমুনাতে। যে নূপুর শুনে ময়ূর নাচিত এসো হে সেই নূপুর পরি।। নন্দ যশোদা কোলে গোপাল যে রূপে খেলিতে, ক্ষীর ননী খেতে এসো সেই রূপে ব্রজ দুলাল। যে পীত বসনে কদম তলায় নাচিতে এসো সে বেশ পরি।। কংসে বধিলে যে রূপে শ্যাম, কুরুক্ষেত্রে হলে সারথি এসো সেইরূপে এ ধরাধাম। যে রূপে গাহিলে গীতা নারায়ণ, এসো সে বিরাট রূপ ধরি।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
মমতাজ মমতাজ তোমার তাজমহল — যেন ফিরদৌসের একমুঠো প্রেম, বৃন্দাবনের একমুঠো প্রেম, আজো করে ঝলমল।। কত সম্রাট হ’ল ধূলি স্মৃতির গোরস্তানে — পৃথিবী ভুলিতে নারে প্রেমিক শাহ্জাহানে, শ্বেত মর্মরে সেই বিরহীর ক্রন্দন –মর্মর গুঞ্জরে অবিরল।। কেমনে জানিল শাজাহান – প্রেম পৃথিবীতে ম’রে যায়, তাই পাষাণ প্রেমের স্মৃতি রেখে গেল পাষাণে লিখিয়া হায়! যেন তাজের পাষাণ অঞ্জলি ল’য়ে নিঠুর বিধাতা পানে অতৃপ্ত প্রেম বিরহী আত্মা আজো অভিযোগ হানে! বুঝি সেই লাজে বালুকায় মুখ লুকাইতে চায় শীর্ণা যমুনা জল।।
রাগঃ মুলতানী মিশ্র
তালঃ দাদ্রা
শিল্পীঃ ছন্দা চক্রবর্তী
মাকে আমার দেখেছে যে ভাইকে সে কি ঘৃণা করে। ত্রিলোক-বাসী প্রিয় তাহার পরান কাঁদে সবার তরে॥ নাই জাতি ভেদ উচ্চ-নীচের জ্ঞান তাহার কাছে সকলে সমান, দেখলে গুহক চন্ডালে সে রামের মত বক্ষে ধরে॥ মা আমাদের মহামায়া পরমা প্রকৃতি পিতা মোদের পরমাত্মা রে তাই সবার সাথে প্রীতি মোদের সবার সাথে প্রীতি। সন্তানে তাঁর ঘৃণা করে মাকে করে পূজা সে পূজা তার নেয় না কভু, নেয় না দশভূজা।১ (মোরা) এই ভেদ-জ্ঞান ভুলব যেদিন মা সেই দিন আসবে ঘরে॥
১. সে পূজা তার নেয় না চতুর্ভুজা, ওরে নেয় না দশভুজা
রাগঃ
তালঃ লোফা
মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো। মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।। মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে এলাম আমি দেশান্তরে শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।
নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’
রাগঃ
তালঃ ত্রিমাত্রিক ছন্দ
Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.
Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan