বাণী

মোর  বেদনার কারাগারে জাগো, জাগো- বেদনাহারী হে মুরারি।
	অসীম দুঃখ ঘেরা কৃষ্ণা তিথিতে এসো এসো হে কৃষ্ণ গিরিধারী।।
	ব‍্যথিত এ চিত দেবকীর সম মূর্ছিত পাষাণেরি ভারে
	ডাকে প্রাণ-যাদব, এসো এসো মাধব উথলিছে প্রেম আঁখিবারি
		মুরারি উথলিছে প্রেম আঁখিবারি।।
	হৃদয়-ব্রজে মম ভক্তি প্রীতি জাগিয়া আছে আশায়,
কদম্ব ফুল সম উঠিছে শিহরি’ মম শ‍্যাম-বরষায়।
ওগো বনশীওয়ালা, তব না শোনা বাঁশি
	শোনে অনুরাগ রাধা প্রণয় পিয়াসি,
গোপন ধ‍্যানের মধুবনে তব নুপুর শুনি, হে কিশোর বনচারী।।

বাণী

মা! আমি তোর অন্ধ ছেলে হাত ধ’রে মোর নিয়ে যা মা।
পথ নাহি পাই যেদিকে চাই দেখি আঁধার ঘোর ত্রিযামা।।
	আমি নিজে পথ চলিতে যাই
	বারে বারে পথ ভুলি মা তাই
মায়া-কূপে পড়ে কাঁদি কোথায় দয়াময়ী শ্যামা।।
মা তুই যবে হাত ধ’রে চলিস্ রয় না পতন-ভয়,
তুই যবে পথ দেখাস্ মা গো সে পথ জ্যোতির্ময়।
	কি হবে জ্ঞান-প্রদীপ নিয়ে সাথে
	বৃথা এ দীপ জন্মান্ধের হাতে
তুই যদি হ’স নির্ভর মোর পথের ভয় আর রবে না মা।।

বাণী

মম মধুর মিনতি শোন ঘনশ্যাম গিরিধারী
কৃষ্ণমুরারী, আনন্দ ব্রজে তব সাথে মুরারি।।
যেন নিশিদিন মুরলী-ধ্বনি শুনি
উজান বহে প্রেম-যমুনারি বারি
নূপুর হয়ে যেন হে বনচারী
চরণ জড়ায়ে ধরে কাঁদিতে পারি।।

বাণী

মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।
মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।।
	এক সে আকাশ মায়ের কোলে
	যেন রবি শশী দোলে,
এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।।
এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল,
এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল।
	এক সে দেশের মাটিতে পাই
	কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই
এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।। 

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

মম প্রাণ নিয়ে নিঠুর খেল এ কি খেলা (হায়)।
ক্ষণে ভালোবাসা হায় ক্ষণে অবহেলা।।
সকালে গাঁথিয়া মালা পায়ে দল বিকালে তায়।
তেমনি দলিতে চাহ আমার পরান কি হায়।
সহিতে পারি না আর এই হেলাফেলা।
জলরূপী একি কোন্ মরীচিকা তুমি কি গো।
ডেকে এনে মরুভুমে বধিবে এ বনমৃগ।
বুঝিয়াছি কখন হায় ফুরায়েছে বেলা।।

বাণী

মত্তময়ূর ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে!
রুমু ঝুম্‌ঝুম্‌ মঞ্জির বাজে কঙ্কণ মণিবন্ধে।।
রিমঝিম্ রিমঝিম্ ঝিম্ কেকা-বর্ণ ঘন বরয়ে
তৃষ্ণা-তৃপ্ত আত্মা নাচে নন্দনলোকে হরষে,
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝরতাল বাজে শুন্যে মেঘ-মন্দ্রে।।
পল্লব ঘন-চক্ষে ঝরে অশ্রু-রসধারা
পূব হাওয়াতে বংশী ডাকে আয় রে পথহারা,
বন্দে দামিনী বর্ণা রাধা বৃন্দাবন চন্দে।।