ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল
বাণী
ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল। ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।। হার হ'বি কার কবরীতে সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে, ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।। মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই, আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই। গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে — সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।
মোর বেদনার কারাগারে জাগো
বাণী
মোর বেদনার কারাগারে জাগো, জাগো- বেদনাহারী হে মুরারি। অসীম দুঃখ ঘেরা কৃষ্ণা তিথিতে এসো এসো হে কৃষ্ণ গিরিধারী।। ব্যথিত এ চিত দেবকীর সম মূর্ছিত পাষাণেরি ভারে ডাকে প্রাণ-যাদব, এসো এসো মাধব উথলিছে প্রেম আঁখিবারি মুরারি উথলিছে প্রেম আঁখিবারি।। হৃদয়-ব্রজে মম ভক্তি প্রীতি জাগিয়া আছে আশায়, কদম্ব ফুল সম উঠিছে শিহরি’ মম শ্যাম-বরষায়। ওগো বনশীওয়ালা, তব না শোনা বাঁশি শোনে অনুরাগ রাধা প্রণয় পিয়াসি, গোপন ধ্যানের মধুবনে তব নুপুর শুনি, হে কিশোর বনচারী।।
মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ
বাণী
মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা। সেই মাতনে উঠল দুলে ভূলোক দ্যুলোক গগন-সীমা।। আঁধার-অসুর-বক্ষপানে অরুণ-আলোর খড়গ হানে, মহাকালের ডম্বরূতে উঠল বেজে মা’র মহিমা।। সৃষ্টি-প্রলয় যুগল নূপুর বাজে শ্যামার যুগল পায়ে, গড়িয়ে পড়ে তারার মালা উল্কা হয়ে গগন-গায়ে। লক্ষ গ্রহের মুন্ডমালা দোলে গলে দোলে ঐ বজ্র-ভেরীর ছন্দ-তালে নাচে শ্যামা তাথৈ থৈ, অগ্নি-শিখায় ঝলকে ওঠে খড়গ-ঝরা লাল শোণিমা।।