বাণী

ওরে রাখাল ছেলে বল্ কি রতন পেলে
দিবি হাতের বাঁশি, তোর ঐ হাতের বাঁশি।
বাঁধা দিয়ে খাড়ু আনব ক্ষীরের নাড়ু
অম্‌নি হেলেদুলে এক্‌বার নাচ্ রে আসি॥
দেখ মাখাতে তোর গায়ে ফাগের গুড়া,
আমার আঙ্গিনাতে ঝরা কৃষ্ণচূড়া।
আমার গলার হার খুলে পরাব আয় কিশোর
		তোর পায়ে ফাঁসি॥
যেন কালিদহের জলে সাপের মানিক জ্বলে,
চোখের হাসি, তোর ঐ চোখের হাসি,
ও তুই কি চাস্ চপল মোরে বল্
আমি মরেছি যে তোরে ভালোবাসি॥
আসিস্ আমার বাড়ি রাখাল দিন ফুরালে
আমার চুড়ির তালে দুলবি কদম ডালে।
ছেড়ে গৃহ-সংসার ওর বাঁশুরিয়া,
		হব চরণ দাসী।

বাণী

দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা।
সকাল সাঁঝে সকল কাজে জপি সে নাম নিরালা।।
সেই নাম বসন-ভূষণ আমারি
সেই নামে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারি,
সেই নাম লয়ে বেড়াই কেঁদে
	সেই নামে আবার জুড়াই জ্বালা।।
সেই নামরেই নামাবলী গ্রহ তারা রবি শশী দোলে গগন কোলে।
	মধুর সেই নাম প্রাণে সদা বাজে,
	মন লাগে না সংসার কাজে
		সে নামে সদা মন মাতোয়ালা।।
আদর-সোহাগ মান -অভিমান আপন মনে তার সাথে;
	কাঁদায়ে কাঁদি, পায়ে ধ'রে সাধি,
	কভু করি পূজা, কভু বুকে বাঁধি,
	আমার স্বামী সে ভুবন-উজালা।।

বাণী

ওরে		হুলো রে তুই রাত বিরেতে ঢুকিস্‌নে হেঁসেল্।
তুই		কবে বেঘোরে প্রাণ হারাবি বুঝিস্‌নে রাস্কেল্।।
আমি		স্বীকার করি শিকারি তুই তোর গোঁফ দেখেই চিনি,
		গাছে কাঁঠাল ঝুলতে দেখে দিস্ গোঁফে তুই তেল।।
		ওরে ছোঁচা ওরে ওঁছা বাড়ি বাড়ি তুই হাঁড়ি খাস,
		নাদ্‌নার বাড়ি খেয়ে কোন্‌দিন ধনে প্রাণে বা মারা যাস্‌,
কেঁদে		মিয়াঁও মিয়াঁও ব’লে বিবি বেরালি করবে রে হার্টফেল।।
		তানপুরারই সুরে যখন তখন গলা সাধিস্,
শুনে		ভুলো তোরে তেড়ে আসে, ন্যাজ তুলে ছুটিস্,
তোরে	বস্তা পু’রে কবে কে চালান দিবে ধাপা-মেল।।
		বৌঝি যখন মাছ কোটে রে, তুমি খোঁজ দাঁও,
		বিড়াল-তপস্বী আড়নয়নে থালার পানে চাও,
তুই		উত্তম মধ্যম খা’স এত তবু হ’ল না আক্কেল।।

বাণী

তরুণ প্রেমিক প্রণয় বেদন জানাও জানাও বেদিল প্রিয়ায়।
ওগো বিজয়ী নিখিল হৃদয় কর কর জয় মোহন মায়ায়।।
নহে ঐ এক হিয়ার সমান হাজার কাবা হাজার মস্‌জিদ;
কি হবে তোর কাবার খোঁজে, আশয় খোঁজ তোর হৃদয় ছায়ায়।।
প্রেমের আলোয় যে দিল্‌ রোশন, যেথায় থাকুক সমান তাহার —
খোদার মস্‌জিদ মুরত–মন্দির ঈসাই–দেউল ইহুদ–খানায়।।
অমর তার নাম প্রেমের খাতায় জ্যোতির্লেখায় রবে লেখা,
দোজখের ভয় করে না সে, থাকে না সে বেহেশ্‌ত্‌ আশায়।।

বাণী

ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না
দলিত এ হৃদি মম দ’লে যেয়ো না ॥
		ল’য়ে কত সাধ আশা
		তোমার দুয়ারে আসা
(বঁধু) দিলে যদি আলোবাসা ফিরে নিয়ো না॥
স্রোতের কুসুম প্রায় ভাসিতাম অসহায়
তুলে নিয়ে বুকে তারে ফেলে দিলে পুনরায়।
		নিরদয় এ কি খেলা
		প্রাণ নিয়ে হেলাফেলা
খেলার লাগিয়া ভালবাসিও না॥

বাণী

		কালো জল ঢালিতে সই চিকন কালারে পড়ে মনে।
		কালো মেঘ দেখে শাওনে সই পড়্ল মনে কালো বরণে॥
			কালো জলে দীঘির বুকে
			কালায় দেখি নীল-শালুকে
(আমি)	চম্‌কে উঠি, ডাকে যখন কালো কোকিল বনে॥
		কল্‌মিলতার চিকন পাতায় দেখি আমার শ্যামে লো
		পিয়া ভেবে দাঁড়াই গিয়ে পিয়াল গাছের বামে লো।
			উড়ে গেলে দোয়েল পাখি
			ভাবি কালার কালো আঁখি
		আমি নীল শাড়ি পরিতে নারি কালারি কারণে লো কালারি কারণে॥