বাণী

আমার পায়ের বেড়ি এই সোনার পুরী ভেঙে।
যাও গো নিয়ে তোমার দেশে (তোমায়) পাব সেথায় জেগে।।
এই যে সাগর এই যে কুমার এই যে তোমার আমি
এই যে তুমি স্বপ্নে-পাওয়া মধুমালার স্বামী,
(এবার) তোমার হাসির রঙে, আঁধার পুরী উঠুক রেঙে।।

নাটক : 'মধুমালা'

বাণী

ওরে	যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে।
	সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।।
	ওরে	যে ঠাকুরে পরান যাচে
	সে	নামের মাঝে লুকিয়ে আছে,
যেমন	বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।।
	বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই,
	তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই।
তোর	কোন্ পথ নাম জপের শেষে
	দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে,
তোর	জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে।
	তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।

বাণী

জগতের নাথ কর পার হে
মায়া-তরঙ্গে টলমল তরণী অকুল ভব পারাবার হে।।
নাহি কাণ্ডারি ভাঙা মোর তরী আশা নাই কুলে উঠিবার
আমি গুণহীন ব'লে করো যদি হেলা শরণ লইব তবে কার।।
সঙসারেরি এই ঘোর পাথারে ছিল যারা প্রিয় সাথি
একে একে তারা ছাড়িয়া গেল হায় ঘনাইল যেই দুখ-রাতি।
	ধ্রুবতারা হয়ে তুমি জ্বালো
	অসীম আঁধারে প্রভু আশারই আলো
তোমার করুণা বিনা হে দীনবন্ধু, পারের আশা নাহি আর।।

বাণী

ওগো	প্রিয়, তব গান! আকাশ-গাঙের জোয়ারে
		উজান বহিয়া যায়
	মোর কথাগুলি কাঁদিছে বুকের দুয়ারে
		পথ খুঁজে নাহি পায়।।
ওগো	দখিনা বাতাস, ফুলের সুরভি বহ
		ওরি সাথে মোর না-বলা বাণী লহ
ওগো	মেঘ, তুমি মোর হয়ে গিয়ে কহ
	বন্দিনী গিরি ঝরনা পাষাণ-তলে
		যে কথা কহিতে চায়।।
	ওরে ও সুরমা, পদ্মা, কর্ণফুলি তোদের ভাটির স্রোতে
	নিয়ে যা আমার না-বলা কথাগুলি ধুয়ে মোর বুক হ'তে
ওরে	'চোখ গেল' বউ কথা কও' পাখি
	তোদের কণ্ঠে মোর সুর, যাই রাখি' কি?
(ওরে)	মাঠের মুরলী কহিও তাহারে ডাকি,
	আমার গানের কলি না-ফোটা বুলি ঝ'রে গেল নিরাশায়।।

বাণী

বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু হইব না আর পথহারা
বন্ধু স্বজন সব ছেড়ে যায় তুমি একা জাগো ধ্রুবতারা।।
	মায়ারূপী হায় কত স্নেহ-নদী,
	জড়াইয়া মোরে ছিল নিরবধি,
সব ছেড়ে গেল, হারাইনু যদি তুমি এসো প্রাণে প্রেমধারা।।
ভ্রান্ত পথের শ্রান্ত পথিক লুটায় তোমার মন্দিরে,
প্রভু আরো যদি কিছু আছে মোর প্রিয় লও বাঁচায়ে বন্দীরে।
	ডাকি' লও মোরে মুক্ত আলোকে
	তব আনন্দ-নন্দন-লোকে,
শান্ত হোক এ ক্রন্দন, আর সহে না এ বন্ধন-কারা।।

বাণী

আমি তব দ্বারে প্রেম-ভিখারি
নয়নের অনুরাগ-দৃষ্টির সাথে চাহি নয়ন-বারি।।
তব পুষ্পিত তনুতে,হৃদয় -কমলে
গোপনে যে প্রেম-মধু উথলে
তোমার কাছে সেই অমৃত যাচে তৃষিত এ পথচারী।।
জনম জনম আমি রূপ ধ'রে আসি গো,
	তোমারি বিরহে কাঁদিতে,
রাহুর মত আমি আসি না
	বাহু-পাশে বাঁধিতে।
আমি ফুলের মধু চাহি,ছিঁড়ি না ফুল গো,
তদূরে রহি,গাহি গান বন-বুলবুল গো,
মনোবনে আছে তব নন্দন-পারিজাত,আমি তা'রি পূজারি।।