বাণী

এসো কল্যাণী চির-আয়ুষ্মতী।
তব নির্মল করে ভবন-প্রদীপ জ্বালো জ্বালো জ্বালো সতী।।
মঙ্গল-শঙ্খ বাজাও বাজাও সুমঙ্গলা
সকল অকল্যাণ সকল অমঙ্গল কর দূর (শুভ) সমুজ্জ্বলা!
এ মাটির কুটিরে দূর আকাশের অরুন্ধতী।।
এসো লক্ষ্মী গৃহের আঁকো অঙ্গনে মঙ্গল আল্‌পনা
তব পুণ্য-পরশ দিয়ে ধূলি-মুঠিরে কর গো সোনা,
তুমি দেবতার শুভ বর মূর্তিমতী।।
স্নান-শুদ্ধা তুমি পূজা-দেউলে যবে কর আরতি,
আনত আকাশ যেন তব চরণে করে প্রণতি।
	তব কুণ্ঠিত গুণ্ঠন-তলে
	চির শান্তির ধ্রবতারা জ্বলে,
সংসার অরণ্যে ধ্যান-মগ্না তুমি তপতী।।

বাণী

উভয়ে	: 	ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
			আমরা দু'টি মাণিক-জোড়।
			থাকব বাঁধা পাখায় পাখায়
			মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। 
পুরুষ		:	আমার বুকে যত মধু
স্ত্রী		:	আমার বুকে ঢালবে বঁধু
পুরুষ		:	আমি 	কাঁদব যখন দুখে
স্ত্রী		:	আমি 	মুছাব সে নয়ন-লোর।।
পুরুষ		:	আমি	যদি কভু মনের ভুলে
				তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে,
স্ত্রী		:	আমি	রইব তাতেই ফুলের মালায়
			লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর।
উভয়ে	:	মোরা	নীল গগনের নীল স্বপনে
			চির-কালের চাঁদ-চকোর।। 

বাণী

আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ওই।
ওই পাহাড়ের ঝর্না আমি, ঘরে নাহি রই গো
				উধাও হ’য়ে বই।।
চিতা বাঘ মিতা আমার গোখ্‌রো খেলার সাথি
সাপের ঝাঁপি বুকে ধ’রে সুখে কাটাই রাতি
ঘূর্ণি হাওয়ার উড়্‌নি ধ’রে নাচি তাথৈ থৈ গো ‘আমি’
				নাচি তাথৈ থৈ।।

চলচ্চিত্র: ‌‘সাপুড়ে’

বাণী

জাগো অরুণ ভৈরব জাগো হে শিব-ধ্যানী।
শোনাও তিমির-ভীত-বিশ্বে নব দিনের বাণী।।
	তোমার তপঃ-তেজে, শিব
	দগ্ধ বুঝি হয় ত্রিদিব,
শরণাগত চরণে তব — হের নিখিল প্রাণী।।
ধ্যান হোক অঙ্গ তব শক্তি ল’য়ে সঙ্গে,
সৃষ্টির আনন্দে, হর, লীলা কর রঙ্গে।
	ললাটের বহ্নি ঢাকো
	শশী-লেখার তিলক আঁকো,
ফণি হোক মণিহার, হে পিনাক-পাণি।।

বাণী

আমি	গগন গহনে সন্ধ্যা-তারা
	কনক গাঁদার ফুল গো।
	গোধূলির শেষে হেসে উঠি আমি
	এক নিমেষের ভুল গো।
আমি	কণিকা,
আমি	সাঁঝের অধরে ম্লান আনন্দ-কণিকা
আমি	অভিমানিনীর খুলে ফেলে দেওয়া মণিকা
আমি	দেব-কুমারীর দুল গো।।
	আলতা রাখার পাত্র আমার আধখানা চাঁদ ভাঙা
	তাহারি রং গড়িয়ে পরে (ঐ) অস্ত-আকাশ রাঙা।
আমি	একমুঠো আলো কৃষ্ণা-সাঁঝের হাতে
আমি	নিবেদিত ফুল আকাশ-নদীতে রাতে
	ভাসিয়া বেড়াই যাঁর উদ্দেশে গো
	তার পাই না চরণ-মূল।।

বাণী

তব মাধবী-লীলায় কর মোরে সঙ্গী (হে বন-লক্ষ্মী)।
তব অপাঙ্গে হইব ভ্রুভঙ্গি।।
মোরে জ্বালায়ে জ্বালো
তব বাসরে আলো,
মোরে নূপুর করি’ বাঁধ চরণে তারি —
	নাচে তোমার সভায় যে কুরঙ্গী।।
তব রূপের দেশে
এনু বাউল বেশে,
যেন ফিরে নাহি যাই
আঁখি-প্রসাদ পাই —
	হব কেশে তব বেণীর ভুজঙ্গী।।