আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে
বাণী
আয় মরু পারের হাওয়া নিয়ে যা রে মদিনায় — জাত-পাক মুস্তাফার রওজা মুবারক যেথায়।। মরিয়া আছি দুখে মাশরেকী এই মুল্লুকে, পড়ব মাগরিবের নামাজ কবে খানা-এ কা'বায়।। হজরতের নাম তসবি করে যাব রে মিসকিন বেশে ইসলামের ঐ দ্বীনী ডঙ্কা বাজল প্রথম যে দেশে। কাঁদব ধরে মাজার শরীফ ধরে শুনব সেথায় কান পাতি, — নবীর মুখে তেমনি কি রে রব ওঠে 'এ্যায় উম্মতি'! পাক কোরানের কালাম হয়ত সেথা শোনা যায়।।
আ’ মেরে সঙ্গ আ
বাণী
আ’ মেরে সঙ্গ আ, মঙ্গল গা হিল্মিল্কে এয় বনমালী। আরমা ফের পুরে হো জাঁয়ে সারে দিল্কে এয় বনমালী॥ মুঝ্কো জাগানেওয়ালা, হো, জগ্মে তেরা উজালা তু মুঝ্কো ধূল সমঝ্কে, লে লে চরণ মে আপ্নে তুনে দিয়ে জ্বালায়ে বিরাণ মন্জিল্ কে এয় বনমালী॥ তু হামকো খাক্ ছানায়া, (আউর) ব্যাকুল আপনা বানায়া কহিঁ আউ না কহিঁ জাউ, আপনে আগে তুমকো পাউঁ খো জায়েঁ যুঁহি মিট্টি মে হাম মিলকে এয় বনমালী॥
রাধাকৃষ্ণ নামের মালা
বাণী
দ্বৈত : রাধাকৃষ্ণ নামের মালা জপ দিবানিশি নিরালা॥ পুরুষ : অগতির গতি গোকুলের পতি স্ত্রী : শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি দেয় যে শ্রীমতী পুরুষ : ভব-সাগরে কৃষ্ণ নাম ধ্রুবজ্যোতি দ্বৈত : সেই কৃষ্ণের প্রিয়া ব্রজবালা॥ স্ত্রী : পাপ-তাপ হবে দুর হরির নামে শ্রীমতী রাধা যে হরির বামে পুরুষ : ঐ নাম জপি’ যাবি গোলকধামে দ্বৈত : সেই রাধা নাম হবে দুঃখ জ্বালা॥ স্ত্রী : সাধনে সিদ্ধ হবে রাধা ব’লে ডাকো পুরুষ : কৃষ্ণ-মূরতি হৃদি-মন্দিরে রাখো দ্বৈত : জপ রে যুগল নাম রাধাশ্যাম এই আঁধার জগৎ হবে আলো॥
যখন প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে
বাণী
(যখন) প্রেমের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে, জুড়াই জ্বালা গজলে। ছাতা দিয়ে মারি খোঁচা যেন সুরের বগলে॥ সিঁড়ির ধারে পিঁড়ি পেতে বিড়ি বাঁধি হায় কলকাতায়, মিলন আশার তামাক ঠাসি হায় বিরহের শাল পাতায়, [‘‘আরে লুল্লু আট পয়সার বিড়ি কিনে লিস্রে হাঁ হাঁ”] জালিম বিবির দিলের ছিপি (দাদা) খুলি সুরের ফজলে॥ কার্ফা তালে চার পা তুলে (হায়) ছুটাই তালের লাল ঘোড়া, ভজুয়া নাত্নি ছুটে আসে হায় ফেলে দিয়ে হায় ঝালবড়া; সুরে-তালে লাগে লড়াই যেন পাঠান মোগলে॥
ফুল বীথি এলে অতিথি
বাণী
স্ত্রী: ফুল বীথি এলে অতিথি চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়। পুরুষ: কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।। স্ত্রী: হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম। পুরুষ: পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে অমিলন প্রেম-পারিজাত, স্ত্রী: কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়। পুরুষ: মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়। উভয়ে: বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয় এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।