তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ
বাণী
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন। দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।। তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই, তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই, জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।। ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা, জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা! ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা, মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, — পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।
কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া
বাণী
কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া প্রাতে কোকিল কাঁদে নিশীথে পাপিয়া।। এ ভরা ভাদরে আমার মরা নদী উথলি’ উথলি’ উঠিছে নিরবধি আমার এ ভাঙা ঘটে, আমার এ হৃদিতটে চাপিতে গেলে ওঠে দু’কূল ছাপিয়া।। নিষেধ নাহি মানে আমার এ পোড়া আঁখি জল লুকাবো কত কাজল মাখি’ মাখি’ ছলনা ক’রে হাসি, অমনি জলে ভাসি ছলিতে গিয়া আসি ভয়েতে কাঁপিয়া।।
কোন্ মরমীর মরম-ব্যথা
বাণী
কোন্ মরমীর মরম-ব্যথা আমার বুকে বেদ্না হানে জানি গো, সেও জানেই জানে। আমি কাঁদি তাইতে যে তার ডাগর চোখে অশ্রু আনে, বুঝেছি তা প্রাণের টানে।। বাইরে বাঁধি মনকে যত ততই বাড়ে মর্ম-ক্ষত, মোর সে ক্ষত ব্যথার মতো বাজে গিয়ে তারও প্রাণে, কে কয়ে যায় কানে কানে।। উদাস বায়ু ধানের ক্ষেতে ঘনায় যখন সাঁঝের মায়া, দুই জনারই নয়ন-পাতায় অম্নি নামে কাজল ছায়া।। দুইটি হিয়াই কেমন কেমন — বদ্ধ ভ্রমর পদ্মে যেমন, হায়,অসহায় মূকের বেদন, বাজ্লো শুধু সাঁঝের গানে, পূবের বায়ুর হুতাশ তানে।।
থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ
বাণী
থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ এসো এসো পথ ভোলা, সবাই দুয়ার বন্ধ করেছে (আছে) আমার দুয়ার খোলা।। সৃষ্টি ডুবায়ে ঝরুক বৃষ্টি, ঘন মেঘে ঢাকো সবার দৃষ্টি, ভুলিয়া ভুবন দুলিব দু'জন গাহি' প্রেম হিন্দোলা।। সব পথ যবে হারাইয়া যায় দুর্দিনে মেঘে ঝড়ে, কোন পথে এসে সহসা সেদিন দোলো মোরে বুকে ধ'রে। নিরাশা-তিমিরে ঢাকা দশ দিশি, এলো যদি আজ মিলনের নিশি, আষাঢ়-ঝুলনা বাঁধিয়া শ্রীহরি দাও দাও মোরে দোলা।।
গীতি-আলেখ্য: ‘হিন্দোলা’
আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা
বাণী
আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা হৃদয়ে মোর রাধা-প্যারী। আমার প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা শ্যাম-সোহাগী গোপ-নারী।। আমার স্নেহে জাগে সদা পিতা নন্দ মা যশোদা, ভক্তি আমার শ্রীদাম-সুদাম আঁখি-জল যমুনা-বারি।। আমার সুখের কদম-শাখায় কিশোর হরি বংশী বাজায় আমার দুখের তমাল ছায়ায় — লুকিয়ে খেলে বন-বিহারী।। মুক্ত আমার প্রাণের গোঠে চরায় ধেনু রাখাল-কিশোর, আমার প্রিয়জনে নেয় সে হরি’, সেই ত ননী খায় ননী-চোর। রাধা-কৃষ্ণ-কথা শুনায় — দেহ ও মন শুক-শারী।।