বাণী

নৃত্যময়ী নৃত্যকালী নিত্য নাচে হেলে দুলে।
তার রূপের ছটায়, নাচের ঘটায় শম্ভু লুটায় চরণ-মূলে।।
	সেই নাচেরি ছন্দ-ধারা,
	চন্দ্র, রবি, গ্রহ, তারা,
সেই, নাচনের ঢেউ খেলে যায় সিন্ধু জলে পত্রে ফুলে।।
	সে মুখ ফিরায়ে নাচে যখন
	ধরায় দিবা হয় রে তখন,
এ বিশ্ব হয় তিমির-মগন মুক্তকেশীর এলোচুলে।।
	শক্তি যথায়, যথায় গতি;
	মা সেথাই নাচে মূর্তিমতী
কবে দেখব সে নাচ অগ্নি-শিখায় আমার শবে চিতার কূলে।।

বাণী

মদির আঁখির সুধায় সাকি		ডুবাও আমার এ তনু মন
আজিকে তোমায় ও আমায়		বেদনার বাসর জাগরণ।
মঙ্গালস ও আঁখি তব,			সাকি, দিল দোলা প্রাণে।।
বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায়	বুলবুল কাঁদে গজল গানে।।
গোলাবী গুলের নেশা			ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে।
শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন,		নাই গোলাব গুলিস্তানে।।
শুনি, সাকি তোমার কাছে		ব্যথা ভোলার দারু আছে —
হিয়া কোন অমিয়া যাচে		জান তুমি, খোদা জানে।।
দুখের পশরা লয়ে			বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)।
সকলি গিয়াছে যখন			যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।

বাণী

তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥
রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা,
আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥
সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ,
সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার।
অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ,
চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥

বৈতালিক

বাণী

মুরলী শিখিব ব'লে এসেছি কদম্ব তলে
মুরলীধারী মুরলী শিখাও হে
কোন সুরে মধু-মাধবী ফোটে
কোন সুরে রাধা নাম ওঠে
মাধব হে! বাঁশির কোন সুরে
উদাসী করে প্রাণ দাসী করে, মাধব হে —
দেহ ময়ুর নাচে কোন সুর শুনিয়া
মন-পাপিয়া গেয়ে ওঠে পিয়া পিয়া
মোরে শিখাও সে সুর হে —
যে সুরে তুমি নাচিবে, পিয়া ব'লে ডাকিবে
মোরে শিখাও সে সুর হে বঁধু
যে সুরে কেবল তব সাথে ভাব হয় অভাব রয় না
আমি সেই সুর শিখিব
যে সুর কৃষ্ণ ছাড়া কোন কথা কয় না
কেন ছলছল চোখে চাও
মুরলী শিখাও কেন হাত কাপে রসময়।
যে সুর তোমার অধর পরশ লাগে
সেই বেনু যেন চিরদিন রাধারই রয় বেনু শিখাও হে
মোর দেহ মন ধায় যেন ধেনু সম তব পানে বেণু শিখাও হে।।

বাণী

মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।।
	খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা
	দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা,
নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।।
এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে
সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে।
	এলো নব দীনের নকীব
	চির-চাওয়া খোদার হাবীব
নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।

বাণী

আমি প্রভাতী তারা পূর্বাচলে
আশা-প্রদীপ আমি নিশির শীশ-মহলে।।
রাতের কপোলে আমি ছলছল অশ্রুর জল,
আমি ধরণীতে হিম-কণা টলমল, নব দুর্বাদলে।।
নব অরুণোদয়ের আমি ইঙ্গিত
বিহগ-কণ্ঠে আমি জাগাই শুভ-সঙ্গীত।
আমিকনক-কদম তিমির নীপ শাখায়
আমিমধ্যমণি মালিকায়, শ্যাম গগন-গলে।।