ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
বাণী
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।। কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য় চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর বেজে' যায়। তোর আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।। তোর ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে তোরে দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে। তোর গলার মালার গন্ধে আমার মন গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে; তুই ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।
ওলো বিশাখা ওলো ললিতে
বাণী
ওলো বিশাখা, ওলো ললিতে, দে এই পথের ধূলি দে। যে পথে শ্যামের রথ চ’লে গেছে, দে সেই পথের ধূলি দে।। আখর : [ধুলি নয় ধুলি নয়, এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়, এ যে হরি-চন্দন, অঙ্গ শীতল করা। ওর ভাগ্য ভালো, রাধার চেয়ে ওর ভাগ্য ভালো — ঐ, ধূলি মাথায় তুলে দে লো।] ঐ পথের বুকে গেছে কৃষ্ণের রথ, সখী আমি কেন হই নাই ঐ ধূলি-পথ। আখর : [বধূ, চ’লে যে যেত গো আমার, হিয়ার উপর দিয়া চ’লে যে যেত আমার, সকল জনম সফল হ’ত, চ’লে যে যেত গো] অনুরাগের রজ্জু দিয়া বাঁধিতাম সে-রথে নিয়ে যেতাম সে-রথ প্রেমপথে (ওলো ললিতে) আখর : [নিয়ে যেতাম, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে, প্রেমের পথে, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে।
চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম
বাণী
চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম। জানে আমায় চেনে আমায় মুসলিম আমার নাম।। অন্ধকারে আজান দিয়ে ভাঙনু ঘুমঘোর, আলোর অভিযান এনেছি রাত করেছি ভোর; এক সমান করেছি ভেঙে উচ্চ নীচ তামাম।। চেনে মোরে সাহারা গোবি দুর্গম পর্বত, মন্থন করেছে সাগর, আমার সিন্ধু রথ; বয়েছি আফ্রিকা ইউরোপ আমারই তাঞ্জাম।। পাক মুলুকে বসিয়েছি খোদার মসজিদ, জগৎ সাক্ষী পাপীদেরকে পিইয়েছি তৌহীদ্; বিরান বনে রচেছি রে হাজার নগর গ্রাম।।
শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী
বাণী
শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী। মানস মধু-বনে মধুমাধবী সুরে মুরলী বাজাও বনচারী।। মধুরাতে হে হৃদয়েশ মাধবী চাঁদ হয়ে এসো, হৃদয়ে তুলিও ভাবেরই উজান রস-যমুনা-বিহারী।। অন্তর মন্দিরে প্রীতি ফুলশয্যায় বিলাস কর লীলা-বিলাসী, আঁখির প্রদীপ জ্বালি' শিয়রে জাগিয়া রব শ্যাম, তব রূপ-পিয়াসি। যত সাধ আশা গেল ঝরিয়া, পর তাই গলে মালা করিয়া; নূপুর করিব তব চরণে গাঁথি' মম নয়নের বারি।।
জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়
বাণী
জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়। ভুবনবাসী ছেলেমেয়ে আয় রে ছুটে আয়॥ আনন্দ আজ লুট হতেছে কে কুড়াবি আয়, আনন্দিনী দশভূজা দশ হাতে ছড়ায়, মা অভয় দিতে এলো ভয়ের অসুর’ দ’লে পায়॥ বুকের মাঝে টইটম্বুর ভরা নদীর জল, ওরে দুলছে টলমল, ওরে করছে ঝলমল। ঝিলের জলে ফুটল কত রঙের শতদল ছুঁতে মায়ের পদতল। দেব সেনারা বাইচ্ খেলে রে আকাশ গাঙের স্রোতে, সেই আনন্দে যোগ দিবি কে? আয় রে বাহির পথে, আর দেব না যেতে মাকে রাখব ধ’রে পায় মাতৃহারা মা পেলে কি ছাড়তে কভু চায়॥