
বর্ণানুক্রমে
নোটিশ বোর্ড
জনপ্রিয়
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
সাম্যের গান গাই- আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ-বেদনা-অশ্রুবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী। এ বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল, নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল। তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছ তার প্রাণ? অন্তরে তার মমতাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান। জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষী, শস্য-লক্ষ্মী নারী, সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারী’। পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্রদাহ, কামিনী এনেছে যামিনী-শান্তি, সমীরণ, বারিবাহ। দিবসে দিয়াছে শক্তি-সাহস, নিশীথে হয়েছে বঁধু, পুরুষ এসেছে মরুতৃষা লয়ে, নারী যোগায়েছে মধু। শষ্যক্ষেত্র উর্বর হল, পুরুষ চালাল হাল, নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল। নর বাহে হল, নারী বহে জল, সেই জল-মাটি মিশে’ ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালী ধানের শীষে। নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে’ জন্ম লভিছে মহা-মানবের মহা-শিশু তিলে তিলে। জগতের যত বড় বড় জয়, বড় বড় অভিযান মাতা ভগ্নি ও বধুদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান। কোন্ রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে, কত নারী দিল সিঁথির সিদুর, লেখা নাই তার পাশে। কত মাতা দিল হৃদয় উপড়ি, কত বোন দিল সেবা, বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা? কোনো কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।
কবিতাঃ নারী (প্রথম খন্ড)
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা
আকাশে ভোরের তারা মুখ পানে চেয়ে আছে ঝরা-ফুল অঞ্জলি পড়ে আছে,পা'র কাছে। দেবতা গো,জাগো জাগো জাগো।। আঁধার-ঘোমটা খুলি শতদল আঁখি তুলি' পৃথিবী প্রসাদ যাচে দেবতা গো,জাগো।। কপোত-কণ্ঠে শোন তব বন্দনা বাজে তোমারে হেরিতে ঊষা দাঁড়ায় বধূর সাজে। দেবতা,তোমার লাগি'আজি আছি নিশি জাগি’' ভীরু এ মনের কলি হের,দল মেলিয়াছে। দেবতা গো,জাগো।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
লায়লী! লায়লী! ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর এ মিনতি। লায়লী কোথায়? আমি শুধু দেখি লা এলা'র জ্যোতি।। পাথর খুঁজিয়া ফিরিয়াছি প্রিয়া প্রেম-দরিয়ার কূলে, খোদার প্রেমের পরশ-মানিক পেলাম কখন ভুলে। সে মানিক যদি দেখ একবার মজনুরে তুমি চাহিবে না আর জুলেখা-ইয়ুসুফ লাজ মানে হেরি' তাহার খুব -সুরতি।। মজনুরে ও যে লায়লী ভোলায় সে যে কত সুন্দর বুঝিবে লায়লী যদি তুমি তারে নেহার এক নজর। সাধ মিটিবে না হেথা ভালোবেসে, চল চল প্রিয়া লা এলা'র দেশে নিত্য মিলনে ভুলিব আমরা এই বিরহের ক্ষতি।।
রাগঃ
তালঃ দাদ্রা
ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি কে মা অশ্রুমতী! লীলাময়ী মহামায়া দাক্ষায়ণী সতী।। কে মাগো তুই কার দুলালী যোগীন্দ্রেরও যোগ ভুলালি, তোর ছোঁওয়াতে স্নিগ্ধ হ’ল শিবের তপের জ্যোতি।। সৃষ্টিরে তোর বাঁচাতে মা করিস্ কতই রঙ্গ, তোর মায়াতে শঙ্করেরও ধ্যান হ’ল তাই ভঙ্গ। শুদ্ধ শিবে মুগ্ধ ক’রে চঞ্চলা তুই গেলি স’রে, হরের যদি জ্ঞান হরিস্ মা মোদের কোথায় গতি। আমরা যে তোর মায়ায় অন্ধ জীবন দুর্বল মতি — ওমা কোথায় মোদের গতি।।
‘সতী’
রাগঃ
তালঃ
আজি পূর্ণশশী কেন মেঘে ঢাকা। মোরে স্মরিয়া রাধিকাও হ’ল কি বাঁকা।। কেন অভিমান-শিশিরে মাখা কমল, কাজল-উজল-চোখে কেন এত জল, লহ মুরলী হরি লহ শিখী-পাখা।
রাগঃ পিলু-বারোয়াঁ
তালঃ
পিউ পিউ বোলে পাপিয়া ফাল্গুন উন্মন বন ব্যাপিয়া।। বিরহিনী মন বিহগী — ওরি সাথে কাঁদে,একা ঘরে নিশি জাগিয়া।।
রাগঃ বাহার
তালঃ ত্রিতাল
Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.
Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan