বাণী

প্রেম ক্যাটারী লগ্‌ গ্যয়ি তোরে কারী কারী
প্যয়ারে ভাঁওরে জোলাৎ হ্যায় যো নিসদিন ডারী ডারী।।
শুনা প্যয়ারে ভ্যঁয়র ও প্রেম-কাহানী
বাগমে যাতা হ্যায় প্রেম সে পাতা হ্যায় কয়া মানমেঁ ঠানী।।
ফুলো সে ক্যয়া তুঝকো প্রেম হুয়া হ্যায়
মেরী তারহা ক্যায়া তু প্রেমী বানা হ্যায়
ত্যড়পত হ্যায় কিসকী তু বরহা মে নিসদিন
পাই হ্যায় কিসসে হুয়ে প্রেমনিশানী।।
ফুলমে হ্রায় গুলসে গ্যলো কি রং গাৎ
মিলতি হ্যায় ইনসে প্রীতম কি প্যারী সুরাত
ইসসে ম্যায় কারতিহু ফুলসে উলফত
ফিরত হু ব্যন ব্যন ব্যনকে দিওয়ানী।।

বাণী

জননী মোর জন্মভূমি, তোমার পায়ে নোয়াই মাথা।
স্বর্গাদপি গরীয়সী স্বদেশ আমার ভারত-মাতা।।
তোমার স্নেহ যায় ব’য়ে মা শত ধারায় নদীর স্রোতে
ঘরে ঘরে সোনার ফসল ছড়িয়ে পড়ে আঁচল হ’তে,
স্নিগ্ধ-ছায়া মাটির বুকে তোমার শীতল পাঁটী পাতা।।
স্বর্গের ঐশ্বর্য লুটায় তোমার ধূলি-মাখা পথে
তোমার ঘরে নাই যাহা মা, নাইক তাহা ভূ-ভারতে,
ঊর্ধ্বে আকাশ নিম্নে সাগর গাহে তোমার বিজয়-গাথা।।
আদি জগদ্ধাত্রী তুমি জগতেরে প্রথম প্রাতে
শিক্ষা দিলে দীক্ষা দিলে, করলে মানুষ আপন হাতে,
তোমার কোলের লোভে মা গো রূপ ধ’রে আসেন বিধাতা।।
ছেলের মুখের অন্ন কেড়ে খাওয়ালি মা যাদের ডেকে
তারাই দিল তোর ললাটে চির-দাসীর তিলক এঁকে,
দেখে শুনে হয় মা মনে, নেইক বিচার, নেই বিধাতা।।

বাণী

খেলি আয় পুতুল-খেলা ব’য়ে যায় খেলার বেলা সই।
বাবা ঐ যান আপিসে ভাবনা কিসের খোকারা দোলায় ঘুমোয় ঐ।।
দাদা যান ইস্কুলেতে, মা খুড়ি মা রান্না করেন ঐ হেঁসেলে
ঠানদি দাওয়ায় ঝীমায় ব’সে ফোকলা বদন মেলে।
আয় লো ভুলি পঞ্চি টুলি পটলি খেঁদি কই।।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে যে কথাটি গেছ বলে
প্রথম মুকুল হয়ে সেই বাণী মালতী লতায় দোলে।।
	সে-কথাটি আবার শুনিবে বলিয়া
	আড়ি পাতে চাঁদ মেঘে লুকাইয়া
চাহে চুপি চুপি পিয়াসি পাপিয়া ঘন পল্লব তলে।।
বসে আছি সেই মালতী বিতানে আজ তুমি নাই কাছে —
ম্লান মুখে পথ চাহে ফুলগুলি আঁধার বকুল গাছে।
	দখিনা বাতাস করে হায় হায়
	ঝরিছে কুসুম শুকনো পাতায়
নিবু নিবু হল তোমার আশায় চাঁদের প্রদীপ জ্বলে।।

বাণী

মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো
সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।।
	আজ মনে হয় দিবস যামী
	অমৃতেরই পুত্র আমি মা
আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।।
সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে,
বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে।
	হয়তো আমার আলো লেগে
	নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে,
তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্‌তে ভালো।।

বাণী

পাপিয়া আজ কেন ডাকে সখি, পিয়া পিয়া।
শুনি’, পিয়া পিয়া বোল্‌ ঝুরিছে আমার হিয়া।।
এমনি মধুরাতি, ছিল সে মোর সাথি,
সেদিন পাপিয়া এমনি উঠিত ডাকিয়া
সে কি আজ এলো তবে, চাঁদের মত নীরবে
হাসির জোছনাতে তার দশদিশি রাঙাইয়া।।

নাটকঃ ‘সর্বহারা’