ও শাপ্লা ফুল নেবো না
বাণী
মেয়েঃ ও শাপ্লা ফুল নেবো না বাবলা ফুল এনে দে নইলে দেবো না বাঁশি ফিরিয়ে। ছেলেঃ খুলে বেণীর বিনুনী, খোঁপার চিরুনি হাতে দে, যাব খানিক জিরিয়ে। মেয়েঃ বন-পায়রার পালক দে কুড়িয়ে, ছেলেঃ তোর চোখের চাওয়া পায়রা দিল উড়িয়ে, দুজনেঃ মোদের ঝগড়া দেখে হালকা হাওয়া বহে ঝিরঝিরিয়ে। ছেলেঃ তোর জোড়া ভুরু-ধনুক মোর নাসিকা বাঁশি লো মেয়েঃ চাঁদের চেয়ে ভালো লাগে কালো রূপের হাসি রে তোর কালো রূপের হাসি ছেলেঃ ওই কালো চোখের হাসি। মেয়েঃ তুই যাদু করে মন দিলি দুলিয়ে দুজনেঃ মোদের কথা শুনে শিরিষ পাতা ওঠে শিরশিরিয়ে॥
সিনেমাঃ ‘অভিনয় নয়’
মোরা ছিনু একেলা হইনু দু’জন
বাণী
মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন। সুন্দরতর হ’ল নিখিল ভুবন।। আজি কপোত-কপোতী শ্রবণে কুহরে, বীণা বেণু বাজে বন-মর্মরে। নির্ঝর-ধারে সুধা চোখে মুখে ঝরে, নূতন জগৎ মোরা করেছি সৃজন।। মরিতে চাহি না, পেয়ে জীবন-অমিয়া! আসিব এ কুটিরে আবার জনমিয়া। আরো চাই আরো চাই অশেষ জীবন।। আজি প্রদীপ-বন্দিনী আলোক-কন্যা, লক্ষ্মীর শ্রী লয়ে আসিল অরণ্যা, মঙ্গল-ঘটে এলো নদীজল-বন্যা, পার্বতী পরিয়াছে গৌরী-ভূষণ।।
এসো ফিরে প্রিয়তম এসো ফিরে
বাণী
এসো ফিরে’ প্রিয়তম, এসো ফিরে’। আঁখির আলোক হায় জীবনের সন্ধ্যায় ডুবে যায় নিরাশা-তিমিরে।। আসে যে-পথে প্রভাতী আলোর ধারা যে-পথে আসে চাঁদ, রাতের তারা, নিতি সেই পথে চাই যদি তব দেখা পাই — শুধাই তোমার কথা দক্ষিণ সমীরে।। খুঁজে’ ফিরি ঝরা ফুলে নদীর স্রোতে ঘর-ছাড়া পথিক ধায় যে-পথে, তব পথ, হে সুদূর কত দূর, কত দূর — কোথা পাব তব দেখা (কোন্) কালের তীরে।।
কেন মনোবনে মালতী-বল্লরি দোলে
বাণী
কেন মনোবনে মালতী-বল্লরি দোলে - জানি না। কেন মুকুলিকা ফুটে ওঠে পল্লব-তলে - জানি না।। কেন ঊর্মিলা-ঝরনার পাশে সে আপন মঞ্জরি-ছায়া দেখে' হাসে, কেন পাপিয়া কুহু মুহু মুহু বোলে, জানি না।। চৈতালি-চাঁপা কয়, মালতী শোন শুনেছিস বুঝি মধুকর গুঞ্জন, তাই বুঝি এত মধু সুরভি উথলে — মধু-মালতী বলে, জানি না, জানি না।।
ত্রাণ কর মওলা মদিনার উম্মত তোমার
বাণী
ত্রাণ কর মওলা মদিনার, উম্মত তোমার গুনাহ্গার কাঁদে। তব প্রিয় মুসলিম দুনিয়া পড়েছে আবার গুনাহের ফাঁদে।। নাহি কেউ ঈমানদার, নাহি নিশান-বরদার, মুসলিম জাহানে নাহি আর পরহেজগার, জামাত শামিল হতে যায় না মসজিদে, পড়ে নাকো কোরআন মানে না মুর্শিদে; ভুলিয়াছে কল্মা শাহাদাত, পড়ে না নামাজ ঈদের চাঁদে।। নাহি দান খয়রাত, ভুলে মোহ ফাঁসে মেতে আছে সবে বিভবে বিলাসে; বসিয়াছে জালিম শাহী তখ্তে তব — মজলুমের এ ফরিয়াদ আর কাহে কব, তলোয়ার নাহি আর, পায়ে গোলামীর জিঞ্জির বাঁধে।।