বাণী

	দীন দরিদ্র কাঙালের তরে এই দুনিয়ায় আসি’,
	হে হজরত বাদশাহ হয়েছিলে উপবাসী।
(তুমি)	চাহ নাই কেহ হইবে আমীর, পথের ফকির কেহ
(কেহ)	মাথা গুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ,
	ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ, কারো শত দাস-দাসী।।
(আজ)	মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই
	ধনী মুস্‌লিম ভোগ ও বিলাসে ডুবিয়া আছে সদাই,
(তাই)	তোমারেই ডাকে যত মুস্‌লিম গরীব শ্রমিক চাষী।।
	বঞ্চিত মোরা হইয়াছি আজ তব রহমত হ’তে
	সাহেবী গিয়াছে, মোসাহেবী করি ফিরি দুনিয়ার পথে,
	আবার মানুষ হব কবে মোরা মানুষেরে ভালবাসি’।।

বাণী

চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে
শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।
বাজে পায়ে পাঁইজোর ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর
গাহে পাপিয়া পিয়া পিয়া শুনি সে সুর
শত পরান হতে চায় ঐ চরণে নূপুর
হৃদি হতে চায় চাবি তাহার আঁচলে।।
পথিকে বধিতে কি নদীতে সে জলকে যায়
ছল চল বলি তাহার কলসিতে জল ছ’লকে যায়
কাজল-ঘন চোখে বিজলি জ্বালা ঝলকে যায়
মন-পতঙ্গ ধায় ঐ আঁখির অনলে
শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।

বাণী

ঝুলন ঝুলায়ে ঝাউ ঝক্‌ ঝোরে, দেখো সখি চম্পা লচ্‌কে
	বাদরা গরজে দামিনী দমকে
আও বৃজকি কোঙারী ওড়ে নীল সাড়ি,
	নীল কমল-কলিকে পহনে ঝুমকে।।
হায়রে ধান কি লও মে হো বালি
ওড়নী রাঙাও সতরঙ্গী আলি,
ঝুলা ঝুলো ডালি ডালি।
আও প্রেম কোঙারী মন ভাও,
প্যারে প্যারে সুরমে শাওনী সুনাও।
রিমঝিম রিমঝিম পড়তে কোয়ারে
সুন্‌ পিয়া পিয়া কহে মুরলী পুকারে,
	ওহি বোলী সে হিরদয় খটকে।।

বাণী

বনের হরিণ বনের হরিণ ওরে কপট চোর।
কেমন ক’রে করলি চুরি প্রিয়ার আঁখি মোর।।
	লায়লীরে তুই দেখ্‌লি কখন
	কর্‌লি বদল তোদের নয়ন,
ওরে বন হয়েছে স্বর্গ আমার হেরি নয়ন তোর।।

নাটকঃ ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

ওরে ডেকে দে, দে লো মহুয়া বনে ফুল ফোটাতো বাজিয়ে বাঁশি কে।
বনের হরিণ নাচাতো, পাখিকে গান গাওয়াতো
			ঢেউ ওঠাতো ঝর্ণা জলে পাহাড়তলিতে।।
তার গানের কথা জানিয়ে দিত ফুলের মধুকে
তার সুরের নেশা করতো ব্যাকুল মনের বঁধুকে,
বুকের মাঝে বাজতো নূপুর চপল হাসিতে।।
আঁধার রাতে ফোটাত সে হলুদ গাঁদার ফুল,
সে বন কাঁদাতো মন কাঁদাতো, কাজ করাতো ভুল।
আর সে বাঁশি শুনি না, ধোঁয়ার ছলে কাঁদি না,
রাঙা শাড়ি পরি না, নোটন খোঁপা বাঁধি না —
আমি রইতে নারি না হেরে সেই বন উদাসী কে গো।।

বাণী

তুমি	ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে।
তুমি	কান্না পাওয়াও কাননকে গো ফুল-ঝরা প্রভাতে॥
তুমি	ভৈরবী সুর উদাস বিধুর
	অতীত দিনের স্মৃতি সুদূর,
তুমি	ফোটার আগে ঝরা মুকুল বৈশাখী হাওয়াতে॥
তুমি	কাশের ফুলের করুণ হাসি মরা নদীর চরে
তুমি	শ্বেত-বসনা অশ্রুমতী উৎসব-বাসরে।
তুমি	মরুর বুকে পথ-হারা
	গোপন ব্যথার ফল্গুধারা,
তুমি	নীরব বীণা বাণীহীনা সঙ্গীত-সভাতে॥