বাণী

মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।
মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।।
	এক সে আকাশ মায়ের কোলে
	যেন রবি শশী দোলে,
এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।।
এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল,
এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল।
	এক সে দেশের মাটিতে পাই
	কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই
এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।। 

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে কিশোরী কিশোর।
দেখে দোউ এক এককে মুখকো চন্দ্রমা চকোর,
য্যায়সে চন্দ্রমা চকোর হোকে প্রেম নেশা বিভোর।।
মেঘ মৃদং বাজে ওহি ঝুলনাকে ছন্দ্‌ মে
রিম্‌ঝিম্‌ বাদর বরসে আনন্দ্‌ মে,
দেখনে যুগল শ্রীমুখ চন্দকো গগন ঘেরি ঘনঘটা ঘোর।।
নব নীর বরসনে কো চাতকিনী চায়
ওয়সে গোপী ঘনশ্যাম দেখ তৃষ্ণা মিটায়,
সব দেবদেবী বন্দনা গীত গায় — 
ঝরে বরসামে ত্রিভুবনকি প্রেমাশ্রুলোর।।

বাণী

সকাল সাঁঝে প্রভু সকল কাজে উঠুক তোমারি নাম —
				বেজে উঠুক তোমারি নাম।
নিশীথ রাতে তারার মত উঠুক তোমারি নাম —
				বেজে উঠুক তোমারি নাম।।
তরুর শাখায় ফুলের সম
বিকশিত হোক (প্রভু) তব নাম নিরুপম,
সাগর মাঝে তরঙ্গ সম বহুক তোমারি নাম।।
পাষাণ শিলায় গিরি নির্ঝর সম বহুক তোমারি নাম
অকুল সমুদ্রে ধ্রুবতারা-সম জাগি’ রহুক তব নাম
				প্রভু জাগি’ রহুক তব নাম।
	শ্রাবণ দিনে বারি ধারার মত
	ঝরুক ও নাম প্রভু অবিরত
মানস কমল বনে মধুকর সম লুটুক তোমারি নাম।।

নাটক: ‌‘রূপকথা’

বাণী

হেড মাস্টারের ছড়ি, সেকেন্ড মাস্টারের দাড়ি
থার্ড মাস্টারের টেড়ি, কারে দেখি কারে ছাড়ি।
হেড-পণ্ডিতের টিকির সাথে ওদের যেন আড়ি।
	দাঁড়াইয়া ঐ হাই বেঞ্চে
	হাসি রে মুখ ভেংচে ভেংচে,
খোঁড়া সেকেন্ড পণ্ডিত যায় লেংচে হুঁকো হাতে বাড়ি
তার মুখ নয় তেলো হাড়ি, মোর হেসে ছিড়ে যায় নাড়ি।

নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

তুষার-মৌলি জাগো জাগো গিরি-রাজ।
পঙ্গু তোমারে আজি হানিতেছে লাজ।।
রুদ্র ও রুদ্রাণী অঙ্কে যাহার,
দৈত্য হরিছে আজ সম্মান তার।
হে মহা-মৌনী, জাগো, পর নব সাজ।।
স্বর্গ তোমার শিরে, পদতলে হায়,
আর্যাবর্ত কাঁদে চির অসহায়
মেঘ-লোক হ’তে হান দৈত্যেরি বাজ।।

বাণী

তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি হরি।
দাও ব্যথা যতই তোমায় ততই নিবিড় করে ধরি।
			আমি ভয় করি কি হরি।।
	আমি শূন্য করে তোমার ঝুলি
	দুঃখ নেব বক্ষে তুলি,
আমি করব দুঃখের অবসান আজ সকল দুঃখ বরি।।
	কত সে মন কত কিছুই
	হজম করে ফেলি নিতুই,
এক মনই তো দুঃখ দেবে তারে নাহি ডরি।।
	তুমি তুলে দিয়ে সুখের দেয়াল,
	ছিলে আমার প্রাণের আড়াল,
আজ আড়াল ভেঙে দাঁড়ালে মোর সকল শূন্য হরি।।