এসো কল্যাণী চির-আয়ুষ্মতী
বাণী
এসো কল্যাণী চির-আয়ুষ্মতী। তব নির্মল করে ভবন-প্রদীপ জ্বালো জ্বালো জ্বালো সতী।। মঙ্গল-শঙ্খ বাজাও বাজাও সুমঙ্গলা সকল অকল্যাণ সকল অমঙ্গল কর দূর (শুভ) সমুজ্জ্বলা! এ মাটির কুটিরে দূর আকাশের অরুন্ধতী।। এসো লক্ষ্মী গৃহের আঁকো অঙ্গনে মঙ্গল আল্পনা তব পুণ্য-পরশ দিয়ে ধূলি-মুঠিরে কর গো সোনা, তুমি দেবতার শুভ বর মূর্তিমতী।। স্নান-শুদ্ধা তুমি পূজা-দেউলে যবে কর আরতি, আনত আকাশ যেন তব চরণে করে প্রণতি। তব কুণ্ঠিত গুণ্ঠন-তলে চির শান্তির ধ্রবতারা জ্বলে, সংসার অরণ্যে ধ্যান-মগ্না তুমি তপতী।।
নূরজাহান! নূরজাহান!
বাণী
নূরজাহান, নূরজাহান! সিন্ধু নদীতে ভেসে, এলে মেঘলামতীর দেশে, ইরানি গুলিস্তান।। নার্গিস লালা গোলাপ আঙ্গুর–লতা শিঁরি ফরহাদ সিরাজের উপকথা এনেছিলে তুমি তনুর পেয়ালা ভরি’ বুলবুলি দিলরুবা রবাবের গান।। তব প্রেমে উন্মাদ ভুলিল সেলিম, সে যে রাজাধিরাজ – চন্দন সম মাখিল অঙ্গে কলঙ্ক লোক–লাজ। যে কলঙ্ক লয়ে হাসে চাঁদ নীল আকাশে, যাহা লেখা থাকে শুধু প্রেমিকের ইতিহাসে, দেবে চিরদিন নন্দন–লোক–চারী তব সেই কলঙ্ক সে প্রেমের সম্মান।।
সঙ্গীতালেখ্য : ‘পঞ্চাঙ্গনা’