বসিয়া নদী-কূলে এলোচুলে
বাণী
বসিয়া নদী-কূলে,এলোচুলে কে উদাসিনী কে এলে, পথ ভুলে, এ অকূলে বন-হরিণী।। কলসে জল ভরিয়া চায় করুণায় কুল-বধূরা, কেঁদে যায় ফুলে, ফুলে, পদমূলে, সাঁঝ-তটিনী।। দলিয়া কত ভাঙা-মন, ও চরণ, করেছ রাঙা কাঁদায়ে কত না দিল, এলে নিখিল মন-মোহিনী।। হারালি গোধূলি-লগন কবি, কোন নদী কিনারে, একি সেই স্বপন-চাঁদ, পেতেছে ফাঁদ প্রিয়ার সতিনী।।
বরষা ঋতু এলো এলো বিজয়ীর সাজে
বাণী
বরষা ঋতু এলো এলো বিজয়ীর সাজে বাজে গুরু গুরু আনন্দ ডম্বরু অম্বর মাঝে।। বাঁকা বিদ্যুৎ তরবারি ঘন ঘন চমকায় হানে তীর বৃষ্টি অবিরল ধারায় শুনি’ রথ-চক্রের ধ্বনি অশনির রোলে সিন্ধু তরঙ্গে মঞ্জির বাজে।। ভীত বন-উপবন লুটায়ে লুটায়ে প্রণতি জানায় সেই বিজয়ীর পায়ে। তার অশান্ত গতিবেগ শুনি’ পুব হাওয়াতে চলে মেঘ-কুঞ্জর-সেনা তারি সাথে তূণীর কেতকীর জল-ধনু হাতে চঞ্চল দুরন্ত গগনে বিরাজে।।
বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা
বাণী
বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা, জাগিল একি চঞ্চলতা।(অবেলায়) এলো ঐ শুকনো ডালে ডালে কোন অতিথির ফুল-বারতা।।(এলো ঐ) বিদায়-নেওয়া কুহু সহসা এলো ফিরে, জোয়ার ওঠে দুলে, মরা নদীর তীরে, শীতের বনে বহে দখিনা হাওয়া ধীরে জাগায়ে বিধুর মধুর ব্যথা।।(পরানে) রুদ্ধ বাতায়ন খুলে দে, চেয়ে দেখি হেনার মঞ্জরি আবার ফুটেছে কী? হারানো মানসী ফিরেছে লয়ে কি গত বসন্তের বিহ্বলতা।।(পরানে)