বাণী

ওরে ও দরিয়ার মাঝি! মোরে নিয়ে যা রে মদিনা।
তুমি মুর্শিদ হ'য়ে পথ দেখাও ভাই আমি যে পথ চিনি না।।  
	আমার প্রিয় হজরত সেথায়
	আছেন নাকি ঘুমিয়ে ভাই,
আমি প্রাণে যে আর বাঁচি না রে আমার হজরতের দরশ বিনা।। 
নদী নাকি নাই ও দেশে, নাও না চলে যদি —
আমি চোখের সাঁতার পানি দিয়ে বইয়ে দেব নদী। 
	ঐ মদিনার ধূলি মেখে
	কাঁদবো 'ইয়া মোহাম্মদ' ডেকে ডেকে রে —
কেঁদেছিল কারবালাতে, (ওরে) যেমন বিবি সাকিনা।।

বাণী

দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদেরই মিনারে।
এ কী খুশির অধীর তরঙ্গ উঠলো জেগে’ প্রাণের কিনারে।।
মনে জাগে হাজার বছর আগে
	ডাকিত বেলাল এমনি অনুরাগে,
তাঁর খোশ এলেহান, মাতাইত প্রাণ গলাইত পাষাণ ভাসাইত মদিনারে
		প্রেমে ভাসাইত মদিনারে।।
তোরা ভোল গৃহকাজ, ওরে মুসলিম থাম
চল খোদার রাহে, শোন, ডাকিছে ইমাম।
মেখে’ দুনিয়ারই খা, বৃথা রহিলি না-পাক,
চল মসজিদে তুই, শোন মোয়াজ্জিনের ডাক,
তোর জনম যাবে বিফলে যে ভাই এই ইবাদতে বিনা রে।।

বাণী

	ওরে অবোধ আঁখি! আর কতদিন রইবি রূপে ভুলে।
	অরূপ সাগর দেখলি না তুই দাঁড়িয়ে রূপের কুলে।।
		যে সুন্দর চুপে চুপে
		লীলা করেন রূপে রূপে,
তুই	দেখলি না সেই অপরূপে রূপের দুয়ার খুলে।।

বাণী

বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ইন্দ্রানী,
জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি।।
রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু
এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু,
হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে
	ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি।।
তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ- এলো শুভ দিন,
অতল-তমসা-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার
এসো এসো পার হ'য়ে ব্যথার পাথার।
অশ্রুত অশ্রুর নীরবতা কর দূর
	কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি।।

বাণী

তরুণ অশান্ত কে বিরহী।
নিবিড় তমসায় ঘন ঘোর বরষায় —
দ্বারে হানিছ কর রহি রহি।।
ছিন্ন পাখা কাঁদে মেঘ-বলাকা
কাঁদে ঘোর অরণ্য আহত-শাখা
	চোখে আশা-বিদ্যুৎ
	এলে কোন মেঘদূত,
বিধূর বঁধূর মোর বারতা বহি’।।

বাণী

মা	কবে তোরে পারব দিতে আমার সকল ভার।
	ভাবতে কখন পারব মাগো নাই কিছু আমার॥
		কারেও আনিনি মা সঙ্গে ক’রে
		রাখতে নারি কারেও ধ’রে
	তুই দিস্, তুই নিস্ মা হ’রে (আমার) কোথায় অধিকার॥
	হাসি খেলি, চলি, ফিরি ইঙ্গিতে মা তোরই,
মা	তোরই মাঝে লভি, তোরই মাঝে মরি।
		পুত্র-মিত্র-কন্যা-জায়া,
		মহামায়া তোরই মায়া,
মা	তোর লীলার পুতুল আমি ভাবতে দে এবার॥