সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল
বাণী
বোন : সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল। তোরা কে কি হবি বল কেলো, ভূলো, হেবো, পচা, ভুতো, ন্যাড়া, ডল্। প্রথম ভাই : আমি হব কাব্লিওয়ালা এক কুলো চাপ দাড়ি। ‘তেরে মুসে আগা, মোর মা গায়া, লেয়াও রূপী তাড়াতাড়ি’। দ্বিতীয় ভাই : আমি হব পন্ডিত মশাই, কাঁপবে ছেলের দল দেখে কাঁপবে ছেলের দল।। তৃতীয় ভাই : আমি হব ফেরিওয়ালা চাই চানাচুর ঘুগ্নিদানা! পাড়ায় পাড়ায় ফিরব ঘুরে পারবে না কেউ করতে মানা! রাত্রে হাঁক্ব ‘কুলফী বরফ’ হায় কি মজার কল।। চতুর্থ ভাই : আমি হব জজ সাহেব, দিব ফাঁসি ছ’ মাস ক’রে পঞ্চম ভাই : দারোগা আমি, তোর জজকে চালান দিব থানায় ধ’রে। ষষ্ঠ ভাই : আমায় দেখে দারোগা গুড়ুম আমি হব কনিষ্ঠ-বল।। সপ্তম ভাই : আমি হব বাবার বাবা মা সে আমার ভয়ে ঘোম্টা দিয়ে লুকোবে কোণে চূনি-বিল্লি হয়ে! বল্ব বাবায়, ওরে খোকা শিগ্গির পাঠশাল্ চল্।।
শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি
বাণী
শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি কি হয় গো। শ্যাম প্রেমে বাধা দেয় স্বামী তারে কয় গো।। নয় নদী মিলে হয় ননদিনী দজ্জাল, জুতো জামা-ই সার যার-জামাই সে মহাকাল, যার কসুর হয় না সে কে? — শ্বশুর মহাশয় গো।। (সে) ভাদ্দর-বউ, (যার) ভাদ্দর মাসে বিয়ে, দেবর সে জন — বর যে দেয় দাদারে দিয়ে। ভাসুর সে, অসুরের মত যারে ভয় গো।। বেহায়া চশম-খোর, তারে কি বেহাই কই, পিসিয়া মারেন বলে তারে (তাই) কি পিসি কই, সকলেরই ভাগ নেয় সে, ভাগ্নেরই জয় গো।।
বসন্ত এলো এলো এলো রে
বাণী
বসন্ত এলো এলো এলো রে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহরে মুহু মুহু কুহু কুহু তানে। মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুনগুন গানে।। পিয়া পিয়া ডেকে ওঠে পাপিয়া মহুল, পলাশ বন-ব্যাপিয়া সুরভিত সমীরণ চঞ্চল উন্মন আনে নব-যৌবন প্রাণে।। বেণুকার বনে বাঁশি বাজে বনমালী এলো বন-মাঝে নাচে তরু-লতিকা যেন গোপ-গোপিকা রাঙা হয়ে রঙের বানে।।
জয় হোক জয় হোক
বাণী
জয় হোক জয় হোক — শান্তির জয় হোক, সাম্যের জয় হোক্, সত্যের জয় হোক জয় হোক॥ সর্ব অকল্যাণ পীড়ন অশান্তি সর্ব অপৌরুষ মিথ্যা ও ভ্রান্তি, হোক ক্ষয়, ক্ষয় হোক জয় হোক জয় হোক॥ দূর হোক অভাব ব্যাধি শোক দুখ দৈন্য গ্লানি বিদ্বেষ অহেতুক, মৃত্যুবিজয়ী হোক্ অমৃত লভুক — ভয়-ভীত দুর্বল নির্ভয় হোক। রবে না এ শৃঙ্খল উচ্ছৃঙ্খলতার বন্ধন কারাগার হবে হবে চুরমার, পার হবে বাধার গিরি মরু পারাবার — নির্যাতিত ধরা মধুর, সুন্দর প্রেমময় হোক, জয় হোক জয় হোক॥
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী
বাণী
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী। শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি।। বিষাদ গভীর কার কল্পনা রূপ ধ’রে তুমি ফের আনমনা, তোমারি মূরতি ধেয়ায় স্বপনে বিরহী সুরের কবি।। তুমি ধরা দিতে যেন আস নাই ধরণীতে, একা-একা খেলা খেল সারাবেলা সাথিহীন তরণীতে। আঘাত হানিয়া সে-কোন্ নিঠুর জাগাবে তোমাতে আশাবরি সুর, পাষাণ টুটিয়া গলিয়া পড়িবে অশ্রুর জাহ্নবী।।