কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু
বাণী
কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু হে ফুল-দেবতা লহ প্রণাম। বিটপী লতায় চিকন পাতায় ছিটাও হাসি কিশোর শ্যাম।। পূজার থালা এ অর্ঘ্য-ডালা এনেছি দিতে তোমার পায় দেহ শুভ বর কুসুম-সুন্দর হোক নিখিল নয়নাভিরাম এ বিশ্ব বিপুল কুসুম-দেউল হোক তোমার ফুল কিশোর মুরলী করে এসো গোলক-বিহারী হোক ভূ-লোক আনন্দ-ধাম।।
নাটকঃ‘সাবিত্রী’
জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ
বাণী
জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ। তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।। চকোর নহি মেঘও নহি আপন ঘরে বন্দী রহি’ আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।। কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর? হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর। নিশীথ রাতে আমার নীরে, প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে, মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।
ওরে ও-স্রোতের ফুল
বাণী
ওরে ও-স্রোতের ফুল! ভেসে ভেসে হায় এলি অসহায় কোথায় পথ-বেভুল।। কোল্ খালি ক’রে কোন্ লতিকার নিভাইয়া নয়নের জ্যোতি কা’র, বনের কুকুম অকূল পাথারে খুঁজিয়া ফিরিস্ কূল।। ভবনের স্নেহ নারিল রাখিতে ঠেলে ফেলে দিল যা’রে, সারা ভুবনের স্নেহ কি কখনো তাহারে ধরিতে পারে। জল নয়, তোর জননী যে ভুঁই অভিমানী! সেথা চল্ ফিরে তুই, ধূলিতেও যদি ঝরিস্ সেথায় স্বর্গ সেই অতুল।।
চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে
বাণী
চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে, তুমি নাই মোর কাছে — সেই কথা শুধু জাগে।। এই ধরণীর বুকে কত গান কত হাসি, প্রদীপ নিভায়ে ঘরে আমি আঁখি-নীরে ভাসি, পরানে বিরহী বাঁশি ঝুরিছে করুণ রাগে।। এ কী এ বেদনা আজি আমার ভুবন ঘিরে, ওগো অশান্ত মম, ফিরে এসো, এসো ফিরে। বুলবুলি এলে বনে বলে যাহা বনলতা — সাধ যায় কানে কানে আজি বলিব সে কথা, ভুল বুঝিও না মোরে বলিতে পারিনি আগে।।