বাণী

পলাশ ফুলের মউ পিয়ে ঐ বউ-কথা-কও উঠ্ল ডেকে।
শিশ্ দিয়ে যায় উদাস হাওয়া নেবু-ফুলের আতর মেখে।।
	এমন পূর্ণ চাঁদের রাতি
	নেই গো আমার জাগার সাথী,
ফুল-হারা মোর কুঞ্জ-বীথি — কাঁটার স্মৃতি গেছে রেখে।।
	শূন্য মনে এক্‌লা গুণি
	কান্না-হাসির পান্না-চুণী,
বিদায়-বেলার বাঁশি শুনি — আস্‌ছে ভেসে ওপার থেকে।।

১. শঙ্করা মিশ্র — দাদ্‌রা, ২. সাথে।

বাণী

	প্রজাপতি! প্রজাপতি!
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা,
টুকটুকে লাল–নীল ঝিলিমিলি আঁকা–বাঁকা।।
	তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও
	মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও
ওই পাখা দাও সোনালী –রূপালী পরাগ মাখা।।
মোর মন যেতে চায় না পাঠশালাতে
প্রজাপতি! তুমি নিয়ে যাও সাথী ক’রে তোমার সাথে।
	তুমি হাওয়ায় নেচে নেচে যাও
আজতোমার মত মোরে আনন্দ দাও
এই জামা ভাল লাগে না, দাও জামা ছবি–আঁকা।।

বাণী

খেলত বায়ু ফুলবন-মে, আও প্রাণ-পিয়া।।
আও মন-মে প্রেম-সাথি আজ রজনী, গাও প্রেম-পিয়া।।
মন-বন-মে প্রেম মিলি দোলত হ্যয় ফুল কলি
বোলত হ্যয় পিয়া পিয়া বাজে মুরলীয়া, আওয়ে শ্যাম পিয়া।।
মন্দির মে বাজত হ্যয় পিয়া তব মুরতি
প্রেম পূজা লেও পিয়া, আও প্রেম-সাথি।
চাঁদ হাসে তারা সাথে আও পিয়া প্রেম-রথে
সুন্দর হায় প্রেম-রাতি আও মোহনীয়া, আও প্রাণ পিয়া।।

বাণী

নিশীথ-স্বপন তোর ভু’লে যা নিশি-শেষে।
বাদল-অবসানে আকাশ উঠেছে হেসে।।
চখার পাশে আসে বিরহ-রাতের চখি
আঁধার লুকাল ঐ দূর বনে এলোকেশে।।
শরম-রাঙা গালে জাগিল কুমারী ঊষা,
তরুণ অরুণ ঐ এসো রাঙা বর-বেশে।।

বাণী

আমার	মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
সেই	মঞ্জু-বনে ফির্‌ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।।
	সেথা	আনন্দে দেয় করতালি
		প্রেমের কিশোর বনমালী,
সেই	লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।।
	কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়,
	শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়।
		এই লতারই ফুল-সুবাসে
		কোটি চন্দ্র সূর্য আসে১ নীল আকাশে,
এই	লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।

১. হাসে

বাণী

কে পাঠালে লিপির দূতী গোপন লোকের বন্ধু গোপন।
চিন্‌তে নারি হাতের লেখা মনের লেখা চেনে গো মন।।
	গান গেয়ে যাই আপন মনে
	সুরের পাখি গহন বনে,
সে সুর বেঁধে কার নয়নে — জানে শুধু তা’রি নয়ন।।
	কে গো তুমি গন্ধ-কুসুম
	গান গেয়ে কি ভেঙেছি ঘুম,
তোমার ব্যথার নিশীথ নিঝুম — হেরে’ কি মোর গানের স্বপন।।
	নাই ঠিকানা নাই পরিচয়
	কে জানে ও-মনে কি ভয়,
গানের কমল ও-চরণ ছোঁয় — তাইতে মানি ধন্য জীবন।।
	সুরের গোপন বাসর-ঘরে
	গানের মালা বদল করে,
সকল আঁখির অগোচরে — না দেখাতে মোদের মিলন।।