বাণী

ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি
ধীরে চল গোরী ধীরে ধীরে
টলে চিকন কাঁখে ভরা গাগরি
	ভরে তায় ঘাঘরি।
দেহ টুটে না যায় যেন নাগরি
	নীল চোলি ভিজিয়া না যায় নীরে।।
কঠিন ধরা হানে বেদনা কোমল পায়ে
মুছায়ে দিব ব্যথা ব’স এ বকুল ছায়ে
‘না’বলি মুচকিয়া হেসো না ফিরে ফিরে।।
দাঁড়ায়ে কত পথিক বহিতে সই ভার তব
যদি চাহ গো সখি ভার তব আমি লব
দাও আমারে ঠাঁই, তব ঐ তনুর তীরে।।

বাণী

কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া
কুহরিল মহুয়া-বনে
চমকি জাগিনু নিশীথ শয়নে।।
শূন্য ভবনে মৃদুল সমীরে
প্রদীপের শিখা কাঁপে ধীরে ধীরে
চরণ-চিহ্ন রাখি দলিত কুসুমে
	চলিয়া গেছ তুমি দূর-বিজনে।।
বাহিরে ঝরে ফুল আমি ঝুরি ঘরে
বেণু-বনে সমীরণ হাহাকার করে
ব’লে যাও কেন গেলে এমন ক’রে
	কিছু নাহি ব’লে সহসা গোপনে।।

বাণী

খড়ের প্রতিমা পূজিস্‌ রে তোরা, মাকে ত’ তোরা পূজিস্‌নে!
প্রতি মা’র মাঝে প্রতিমা বিরাজে (ঘরে ঘরে ওরে)
			হায় রে অন্ধ, বুঝিস্‌নে।।
বছর বছর মাতৃ পূজার ক’রে যাস্‌ অভিনয়
ভীরু সন্তানে হেরি লজ্জায় মাও যে পাষাণময়,
মাকে জিনিতে সাধন-সমরে সাধক ত’কেহ বুঝিস্‌নে।
মাটির প্রতিমা গ’লে যায় জলে, বিজয়ায় ভেসে যায়,
আকাশে-বাতাসে মা’র স্নেহ জাগে অতন্দ্র করুণায়।
তোরই আশে-পাশে তাঁর কৃপা হাসে —
			কেন সেই পথে তাঁরে খুঁজিস্‌নে।।

নাটিকাঃ ‌‘বিজয়া’

বাণী

চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম আসিলে মোর জীবনে।
নীরব মনের উপবন মর্মরি’ উঠিল অধীর হরষণে।।
	যে মুকুল ঘুমায়ে ছিল পত্রপুটে
	অনুরাগে ফুল হয়ে উঠিল ফুটে,
তনুর কূলে কূলে ছন্দ উঠিল দুলে আকুল শিহরণে।।
অলকানন্দা হ’তে রসের ধারা তুমি আনিলে বহি’,
অশান্ত সুরে একি গাহিলে গান, হে দূর বিরহী।
	মায়ামৃগ তুমি হেসে চ’লে যাও
	তব কূলে যে কাঁদে তারে ফিরে নাহি চাও,
কত বন ভূমিরে আঁখি-নীরে ভাসাও —
			হে উদাসীন আনমনে।।

বাণী

অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম।
মেরি তরা বস আঠোঁ প্যহর তুম, রট্‌কে শ্যামকা নাম।।
বন-ফুলকে মালা নিরালি বন্‌ যাতি নাগন কালি
কৃষ্ঞ-প্রেমকী ভীক্‌ মাঙ্গনে আতে লাখ্‌ যনম্‌।
তুম, আতে ইস্‌ বৃজধাম।।
চুপ্‌কে চুপ্‌কে তুম্‌রে হিরদয় ম বসতা বন্‌সীওয়ালা,
আওর, ধীরে ধীরে উস্‌কী ধূন সে ব্যঢ়তী মন্‌কি জ্বালা।
পন-ঘটমে ন্যয়্যন বিছায়ে তুম্‌, র‍্যহতে আস্‌ ল্যগায়ে
আওর, কালেকে সঙ্গ প্রীত ল্যগাকর্‌ হো জাতে বদনাম।।

বাণী

	আঁখি তোল আঁখি তোল না,
	দানো করুণা, ওগো অরুণা,
	মেলি’ নয়ন জীর্ণ কানন কর তরুণা।।
	আঁখি যে তোমার বনের পাখি —
	ঘুম যে ভাঙায় আঁধারে ডাকি’,
	আলোর-সাগর জাগাও বরুণা।।
তব 	আনত আঁখির পাতার কোলে
	তরুণ আলোর মুকুল দোলে।
	রঙের কুমার দুয়ারে জাগে,
	তোমার আঁখির প্রসাদ মাগে,
	পাণ্ডুর ভোর হোক তরুণারুণা।।