কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ
বাণী
কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ। ওরে আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে।। পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি ওরে রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে আমি তারি লাগি রে আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ।। পিছ্লে পড়ে চাঁদের কিরণ নিটোল তারি গায়ে ওরে সন্ধ্যা-সকাল আসে তারি’ আল্তা হতে পায়ে রে। ও সে রয় না ঘরে রে ও সে রয় না ঘরে ঘুরে’ বেড়ায় ময়নামতীর চরে তা’রে দেখ্লে মরা বেঁচে ওঠে জ্যান্ত মানুষ মরে রে ও সে জল-তরঙ্গে বাজে রে তার সোনার চুড়ির রেশ।।
তুমি যে-হার দিলে ভালোবেসে
বাণী
(তুমি) যে-হার দিলে ভালোবেসে সে-হার আমার হ’ল ফাঁসি। (প্রিয়) সেই হার আজ বক্ষে চেপে আকুল নয়ন-জলে ভাসি।। তুমি জান অন্তর্যামী দান তো তোমার চাইনি আমি, তোমায় শুধু চেয়েছিলাম১ সাধ ছিল মোর হ’তে দাসী।। দুখের মালা কেড়ে নিয়ে কেন দিলে মতির মালা, মালায় শীতল হবে কি নাথ! শূন্য আমার বুকের জ্বালা? (মোরে) রেখো না আর সোনার রথে ডাকো তোমার তীর্থ-পথে, (আমার) সুখের ঘরে আগুন জ্বালো শোনাও বাঁশি সর্বনাশী।।
১. চেয়েছিলাম তোমায় স্বামী
দোলন চাঁপা বনে দোলে
বাণী
দোলন চাঁপা বনে দোলে — দোল-পূর্ণিমা-রাতে চাঁদের সাথে। শ্যাম পল্লব কোলে যেন দোলে রাধা লতার দোলনাতে॥ যেন দেব-কুমারীর শুভ্র হাসি ফুল হয়ে দোলে ধরায় আসি’ আরতির মৃদু জ্যোতি প্রদীপ-কলি দোলে যেন দেউল-আঙিনাতে॥ বন-দেবীর ওকী রুপালি ঝুমকা চৈতি সমীরণে দোলে — রাতের সলাজ আঁখি-তারা যেন তিমির আঁচলে। ও যেন মুঠিভরা চন্দন-গন্ধ দোলে রে গোপিনির গোপন আনন্দ, ও কী রে চুরি করা শ্যামের নূপুর — চন্দ্র-যামিনীর মোহন হাতে॥