বাণী

এলো ঐ		পূর্ণ শশী		ফুল-জাগানো
বহে বায়		বকুল-বনে	ঘুম-ভাঙানো।।
লাগিল		জাফরানি-রঙ	শিউলি-ফুলে
ফুটিল		প্রেমের কুঁড়ি	পাপড়ি খুলে,
খুশির আজ	আমেজ জাগে	মন-রাঙানো।।
চাঁদিনী		ঝিলমিলায়	ঝিলের জলে,
আবেশে		শাপলা ফুলের	মৃণাল টলে,
জাগে ঢেউ	দীঘির বুকে	দোল-লাগানো।।
এসো আজ	স্বপন-কুমার	নিরিবিলি
খুলিয়া		গোপন প্রাণের	ঝিলিমিলি,
এসো মোর	হতাশ প্রাণে	ভুল-ভাঙানো।।

বাণী

মার্‌হাবা সৈয়দে মক্কী-মদনী আল্-আরবি।
বাদ্‌শারও বাদশাহ্ নবীদের রাজা নবী।।
ছিলে মিশে আহাদে, আসিলে আহমদ হয়ে
বাঁচাতে সৃষ্টি খোদার, এলে খোদার সনদ ল’য়ে,
মানুষে উদ্ধারিলে মানুষের আঘাত সয়ে —
মলিন দুনিয়ায় আনিলে তুমি যে বেহেশ্‌তী ছবি।।
পাপের জেহাদ-রণে দাঁড়াইলে তুমি একা
নিশান ছিল হাতে ‘লা-শরীক আল্লাহ্’ লেখা,
গেল দুনিয়া হতে ধুয়ে মুছে পাপের রেখা —
বহিল খুশির তুফান উদিল পুণ্যের রবি।।

বাণী

আমার	মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই
		স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥
(মাগো)		কি হবে সে মুক্তি নিয়ে,
			কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে;
		যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥
		যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর
(আমি)	পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর।
			তুই, মাখাস্ যদি মাখ্‌ব ধূলি,
			শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি;
		তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥

বাণী

তুম আনন্দ ঘনশ্যাম ম্যয় হুঁ প্রেম-দিওয়ানী রাধা।
বাঁশরি শুনকে তোরি আয়ি মধুবনমে না মানু কলঙ্ককি বাধা।।
যুগ যুগান্ত অনন্তকাল সে হৃদয়-বৃন্দাবনে মে,
তুমহারে হামরে এহি লীলা নাথ চলত রহি মনমে।
	মেরে সঙ্গ রোয়ে প্রেম বিগলিতা
	ভক্তি বিশাখা প্রীতি ললিতা,
তুমকো যো চাহে মেরি তরহেসে রোয়ত জীব সমাধা।।

বাণী

অচেনা সুরে অজানা পথিক
		নিতি গেয়ে যায় করুণ গীতি।
শুনিয়া সে গান দু’লে ওঠে প্রাণ
		জেগে ওঠে কোন্ হারানো স্মৃতি॥
ঘুরিয়া মরে উদাসী সে সুর
সাঁঝের কূলে বিষাদ-বিধুর,
নীড়ে যেতে হায় পাখি ফিরে চায়,
		আবেশে ঝিমায় কুসুম-বীথি॥

বাণী

(ওরা)	মানুষের তরে মালা গাঁথে, তাই সে-মালা শুকিয়ে যায় গো!
	সে-মালা শুকায় না কভু যারা দেয় শ্রীহরির পায় গো।।
	হরির চরণে নিবেদিত যার আত্মা ও তনুমন,
	এই সংসার তার কাছে হায় নিত্য বৃন্দাবন!
(তার)	হারায় না কিছু গো সকলই সে পায় শ্রীহরির করুণায়।।

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’