বাণী

	ঢের কেঁদেছি ঢের সেধেছি, আর পারিনে, যেতে দে তাঁ’য়।
	গ’ল্‌ল না যে চোখের জলে গ’ল্‌বে কি সে মুখের কথায়।।
		যে চ’লে যায় হৃদয় দ’লে
		নাই কিছু তার হৃদয় ব’লে,
	তারে মিছে অভিমানের ছলে — ডাক্‌তে আরো বাজে ব্যথায়।।
		বঁধুর চ’লে যাওয়ার পরে
		কাঁদব লো তার পথে প’ড়ে,
তার	চরণ-রেখা বুকে ধ’রে — শেষ করিব জীবন সেথায়।।

বাণী

পলাশ ফুলের গেলাস ভরি’ পিয়াব অমিয়া তোমারে প্রিয়া
চাঁদিনী রাতের চাঁদোয়া তলে বুকের আঁচল দিব পাতিয়া।।
নয়ন-মণির মুকুরে তোমার দুলিবে আমার সজল ছবি
সবুজ ঘাসের শিশির ছানি মুকুতা মালিকা দিব গাঁথিয়া।।
		ফিরোজা আকাশ আবেশে ঝিমায়
		দীঘির বুকে কমল ঘুমায়
নীরব যখন পাখির কূজন আমরা দু’জন রব জাগিয়া।।

বাণী

তুষার-মৌলি জাগো জাগো গিরি-রাজ।
পঙ্গু তোমারে আজি হানিতেছে লাজ।।
রুদ্র ও রুদ্রাণী অঙ্কে যাহার,
দৈত্য হরিছে আজ সম্মান তার।
হে মহা-মৌনী, জাগো, পর নব সাজ।।
স্বর্গ তোমার শিরে, পদতলে হায়,
আর্যাবর্ত কাঁদে চির অসহায়
মেঘ-লোক হ’তে হান দৈত্যেরি বাজ।।

বাণী

আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন, দমকল ডাক ওলো সই।
শিগ্‌গির ফোন কর বঁধুরে, নইলে পুড়ে ভস্ম হই॥
	অনুরাগ দিশ্‌লাই নিয়ে
	চোখের লম্প জ্বালতে গিয়ে,
আমার প্রাণের খোড়ো ঘরে লাগল আগুন ওই লো ওই॥
	প্রেমের কেরোসিন যে এত
	অল্পে জ্বলে জানিনে তো,
কি দাবানল জ্বলছে বুকে জানবে না কেউ আমা বই॥
	প্রণয় প্রীতির তোষক গদি
	রক্ষে করতে চায় সে যদি
মনে ক’রে আনতে বলিস (তারে) আদর সোহাগ বালতি মই॥

বাণী

আমার	মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই
		স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥
(মাগো)		কি হবে সে মুক্তি নিয়ে,
			কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে;
		যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥
		যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর
(আমি)	পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর।
			তুই, মাখাস্ যদি মাখ্‌ব ধূলি,
			শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি;
		তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥

বাণী

বনের হরিণ আয় রে বনের হরিণ আয়
কাজল-পরা চোখ নিয়ে আয় আমার আঙিনায় রে।।
(দেখ্‌) নেই বনে কেউ এক্‌লা দুপুর
আয় ঝরা পাতায় বাজিয়ে নুপুর, ঝুমুর ঝুমুর
তোরে ডাকে নোটন পায়রার দল ডাকে মেঘের ঝরোকায় রে।।
কি দেখে তুই ধীরি ধীরি চাস্‌ রে ফিরি ফিরি,
বন্‌-শিকারির তীর নহে ও, ঝরনা ঝিরি ঝিরি।
	মাদল বাজে ঈশান কোণে
	ঝড় উঠেছে আমার মনে
সেই তুফানের তালে তালে নাচ্‌বি চপল পায় রে।।