ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল
বাণী
ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল। হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।। রোদের দাহে বালুচরে মরা নদী কেঁদে মরে গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।। ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ, ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক। ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে এমনি নীরব কান্না দোলে, করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।
কদম কেশর পড়ল ঝরি
বাণী
কদম কেশর পড়ল ঝরি তখন তুমি এলে। বাদল মেঘে গগন ঘেরি ঝড়ের কেতন মেলে।। ঝরিয়ে বন-কেয়ার রেণু বজ্ররবে বাজিয়ে বেণু, বৃষ্টি ভেজা দুর্বা দ’লে অরুণ-চরণ ফেলে।। নদীর দু’কূল ভাঙল যবে অধীর স্রোতের জলে, তখন দেখি হে অশান্ত তোমার তরী চলে। যূথীর নীরব অশ্রু ঝরে শ্যামল তোমার চরণ ’পরে, আকাশ চাহে তোমার পথে তড়িৎ প্রদীপ জ্বেলে।।
জয় হোক জয় হোক
বাণী
জয় হোক জয় হোক — শান্তির জয় হোক, সাম্যের জয় হোক্, সত্যের জয় হোক জয় হোক॥ সর্ব অকল্যাণ পীড়ন অশান্তি সর্ব অপৌরুষ মিথ্যা ও ভ্রান্তি, হোক ক্ষয়, ক্ষয় হোক জয় হোক জয় হোক॥ দূর হোক অভাব ব্যাধি শোক দুখ দৈন্য গ্লানি বিদ্বেষ অহেতুক, মৃত্যুবিজয়ী হোক্ অমৃত লভুক — ভয়-ভীত দুর্বল নির্ভয় হোক। রবে না এ শৃঙ্খল উচ্ছৃঙ্খলতার বন্ধন কারাগার হবে হবে চুরমার, পার হবে বাধার গিরি মরু পারাবার — নির্যাতিত ধরা মধুর, সুন্দর প্রেমময় হোক, জয় হোক জয় হোক॥
এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল
বাণী
এসো এসো পাহাড়ি ঝর্ণা মেঘ সজল কাজল বর্ণা এসো জল ছিটিয়ে ফুল ফুটিয়ে এসো।। উপল নুড়িতে কাঁকন চুড়িতে রিনি ঠিনি ছন্দে বন্য আনন্দে এসো এসো ছলছল ঝলমল আঁচল লুটিয়ে এসো।। তৃষ্ণায় ডাকে কূলে কূলে হরিণী আনো কৃষ্ণার জল নির্ঝরিণী। ফুলবনে ভ্রমর দল জুটিয়ে এসো।। এসো তপ্ত ধরার বক্ষে, শান্তি ধারা আনো চক্ষে শীতল হোক খরতর বায়ু, নির্জীব প্রান্তরে আনো পরমায়ু এসো পাষাণ-কারারঘুম টুটিয়ে এসো।।
নাটকঃ‘মদিনা’
আঁধার রাতে দেবতা মোর
বাণী
আঁধার রাতে দেবতা মোর এসে গেছে চ’লে রেখে গেছে চরণ-চিহ্ন শূন্য গৃহ-তলে।। জেগে দেখি বুকের কাছে পূজার মালা প’ড়ে আছে ফেলে গেছে মালাখানি বুঝি খানিক প’রে গলে।। তার অঙ্গের সুবাস ভাসে মন্দির-অঙ্গনে, তাহার ছোঁওয়া লেগে আছে কুমকুম-চন্দনে। অপূর্ণ মোর প্রণামখানি দেবো কবে নাহি জানি, সে আস্বে বুঝি বাসনা-ধূপ পুড়িয়া শেষ হলে’।।