বাণী

ওরে ও-স্রোতের ফুল!
ভেসে ভেসে হায় এলি অসহায় কোথায় পথ-বেভুল।।
	কোল্ খালি ক’রে কোন্ লতিকার
	নিভাইয়া নয়নের জ্যোতি কা’র,
বনের কুকুম অকূল পাথারে খুঁজিয়া ফিরিস্ কূল।।
ভবনের স্নেহ নারিল রাখিতে ঠেলে ফেলে দিল যা’রে,
সারা ভুবনের স্নেহ কি কখনো তাহারে ধরিতে পারে।
	জল নয়, তোর জননী যে ভুঁই
	অভিমানী! সেথা চল্ ফিরে তুই,
ধূলিতেও যদি ঝরিস্ সেথায় স্বর্গ সেই অতুল।।

বাণী

অসীম বেদনায় কাঁদে মদিনাবাসী।
নিভিয়া গেল চাঁদের মুখের হাসি।।
শোকের বাদল আছড়ে প’ড়ে
কাঁদছে মরুর বুকের পরে,
ব্যথার তুফানে আরব গেল ভাসি’।।
গোলাব-বাগে গুল্‌ নাহি আজ
			কাঁদিছে বুল্‌বুলি,
ছাইল আকাশ অন্ধকারে
			মরু সাহারার ধূলি।
তরুলতা বনের পাখি,
‌‘কোথায় হোসেন?’ কইছে ডাকি’,
পড়ছে ঝরে তারার রাশি।।

বাণী

ঝুম্‌কো লতায় জোনাকি, মাঝে মাঝে বৃষ্টি।
আবোল-তাবোল বকে কে, তারও চেয়ে মিষ্টি।।
আকাশে সব ফ্যাকাশে, ডালিম-দানা পাকেনি
চাঁদ ওঠেনি কোলে তার, মা ব’লে সে ডাকেনি।।
রাগ করেছে বাঘিনী, বারো বছর হাসে না
স্বপ্ন তাহার ভেঙ্গে যায়, খোকা কেন আসে না।।
পাথর হয়ে আছে ঝিনুক, দুধের বাটি, দোলনা!
মাকে বলে ‘খোকা কই?’ কিছুই খেলা হ’ল না।।
তেমনি আছে ঘরের জিনিস, কিছুই ভাল লাগে না
পা আছড়ে মা কেঁদে কয় ‘খোকা কেন ভাঙে না!’

চলচ্চিত্র : ‘দিকশূল’

বাণী

ওগো	প্রিয়তম তুমি চ’লে গেছ আজ আমার পাওয়ার বহু দূরে।
তবু	মনের মাঝে বেণু বাজে সেই পুরানো সুরে সুরে॥
	বাজে মনের মাঝে বেণু বাজে
	প্রিয় বাজাতে যে বেণু বনের মাঝে আজো তার রেশ মনে বাজে॥
	তব কদম-মালার কেশরগুলি
	আজি ছেয়ে আছে ওগো পথের ধূলি,
	ওগো আজিকে করুণ রোদন তুলি’ বয় যমুনা ভাটি সুরে॥
	(আর উজান বয় না,)
	ওগো আজিকে আঁধার তমাল বনে, বসে আছি উদাস মনে
	ওগো তোমার দেশে চাঁদ উঠেছে আমার দেশে বাদল ঝুরে॥
	সেথা চাঁদ উঠেছে —
	ওগো শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সেথা শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সখি তাদের দেশে আকাশে আজ আমার দেশের চাঁদ উঠেছে।
	ওগো মোর গগনে কৃষ্ণা তিথি আমার দেশে বাদল ঝুরে॥

বাণী

দেখে যারে দুল্‌হা সাজে সেজেছেন মোদের নবী।
বর্ণিতে সে রূপ মধুর হার মানে নিখিল কবি॥
আওলিয়া আর আম্বিয়া সব পিছে চলে বরাতি,
আসমানে যায় মশাল জ্বেলে গ্রহ তারা চাঁদ রবি॥
হুর পরী সব গায় নাচে আজ, দেয় ‘মোবারকবাদ্’ আলম্,
আর্‌শ কুর্শি ঝুঁকে পড়ে দেখতে সে মোহন ছবি॥
আজ আরশের বাসর ঘরে হবে মোবারক রুয়ৎ,
বুকে খোদার ইশ্ক নিয়ে নওশা ঐ আল-আরবি॥

বাণী

	পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু।
	পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।।
	শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে
	খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে,
(ওগো)	ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।।
	তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়,
	অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়।
	মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি
	কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি,
	আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।