বাণী

ওমা দনুজ-দলনী মহাশক্তি নমো অনন্ত কল্যাণ-দাত্রী (নমো)।
পরমেশ্বরী মহিষ-মর্দিনী চরাচর-বিশ্ব-বিধাত্রী (নমো নমঃ)।।
		সর্বদেব-দেবী তেজোময়ী
		অশিব-অকল্যাণ-অসুর-জয়ী,
দশভুজা তুমি মা, ভীতজন-তারিণী জননী জগৎ-ধাত্রী।।
দীনতা ভীরুতা লাজ গ্লানি ঘুচাও, দলন কর মা লোভ দানবে;
রূপ দাও, জয় দাও, যশ দাও, মান দাও, দেবতা কর ভীরু মানবে।
		শক্তি বিভব দাও, দাও মা আলোক
		দুঃখ-দারিদ্র্য অপগত হোক্‌,
জীবে জীবে হিংসা, এই সংশয় (মাগো) দূর হোক পোহাক এ দুর্যোগ রাত্রি।।

বাণী

আজ	শ্রাবনের লঘু মেঘের সাথে মন চলে মোর ভেসে',
	রেবা নদীর বিজন তীরে মালবিকার দেশে।।
		মন ভেসে যায় অলস হাওয়ায়
		হালকা-পাখা মরালী-প্রায়
	বিরহিনী কাদেঁ যথা একলা এলাকেশে।।
	কভু মেঘের পানে কভু নদীর পানে চেয়ে,'
	লুকিয়ে যথা নয়ন মোছে গায়েঁর কালো মেয়ে,
	একলা বধূ বসে থাকে যথায় বাতায়নে
				বাদল দিনের শেষে।।

বাণী

প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্‌মি শাড়ি।
আজি তোমার রূপের সাথে চাঁদের আড়ি॥
প’রো ললাটে কাঁচপোকার টিপ,
তুমি আলতা প’রো পায়ে হৃদি নিঙাড়ি’॥
প্রজাপতির ডানা-ঝরা সোনার টোপাতে,
ভাঙা ভুরু জোড়া দিও বাতুল শোভাতে।
বেল-যূথিকার গ’ড়ে মালা প’রো খোঁপাতে
দিও উত্তরীয় শিউলি-বোঁটার রঙে ছোপাতে,
রাঙা সাঁঝের সতিনী তুমি রূপ-কুমারী॥

বাণী

গিন্নির চেয়ে শালী ভালো মেসোর চেয়ে মামা।
আর ডাইনের চেয়ে ডুগি ভালো অর্থাৎ কিনা বামা।।
একশালা সে দোশালা আচ্ছা, চন্ডুর চেয়ে গাঁজা,
আর হাতের চেয়ে ভালো, তেনার হাতদিয়ে পান সাজা,
আর ধাক্কার চেয়ে গুঁতো ভালো, উকোর চেয়ে ঝামা।।
টিকির চেয়ে বেণী ভালো, ধূতির চেয়ে শাড়ি,
আর পাঠার চেয়ে মুরগি ভালো, থানার চেয়ে ফাঁড়ি
ঠুঁটোর চেয়ে নুলো ভালো, প্যান্ট চেয়ে পায়জামা।।
আর পেয়াদার চেয়ে যম ভালোরে (ভাই), শালের চেয়ে বাঁশ,
আর দাঁড়ির চেয়ে গোফ্ ভলো ভাই আঁটির চেয়ে শাঁস,
আর ছেলের চেয়ে ছালা ভালো (ওগো), ঝুড়ির চেয়ে ধামা।।
পাকার চেয়ে কাঁচা ভালো, কালোর চেয়ে ফরসা
আর পেত্‌নীর চেয়ে ভূত ভালো ভাই, ছাড়বার থাকে ভরসা,
আর ঝগ্‌ড়ার চেয়ে কুস্‌তি ভালো, কাল্লুর চেয়ে গামা।।

বাণী

এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে,
তার	এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥
যেন	কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে,
	রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো —
	কালো সে রূপের মাঝে হয়ে যায় হারা
	কোটি আলো-রাধিকা-রবি, শশী, তারা,
	প্রেম-যমুনার তীরে সই আমি রিবধি দেখি তারে,
		দেখি আর চেয়ে রই।
	আমি এই রূপ চেয়ে থাকি
সখি	জনমে জনমে জীবনে মরণে এই রূপ চেয়ে থাকি।
ঐ	মোহন কালোর গহন কাননে হারাইয়া যাক আঁখি ॥

বাণী

কোরাস্:
ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী, ফাট্‌ল মাইন সর্‌দা’র
সামাল সামাল পড়ল সাড়া ব-মাল মেয়ে মর্দার।।
এ কোন্ এলো বালাই, এবে পালাই বল কোন্ দেশ,
গাছের নীচে ঘ’ড়েল শেয়াল, কাকের মুখে সন্দেশ।
কন্যা-ডোবা কন্যা এলো, ভাস্ল বুঝি ঘর-দ্বার।।
আয়েস্ ক’রে ধুম্‌ড়ো মেয়ের বাড়বে বয়েস চৌদ্দ
বাপের বুকের তপ্ত-খোলায়? দিব্যি গেয়ান-বোধ তো!
হদ্দ হ’লেন বৌদি ভেবে, ছাড়ল্ নাড়ী বড়দা’র।।
দিব্যি স্বর্গ-মার্গে যেত গৌরী-দানের মারফৎ
যমের যমজ জামাতৃকে লিখে দিয়ে ফার্খত!
(হ’ল) নৈকষ্য কস্য এখন, জাত গেল ‘মেল-খড়দা’র।।
দেব্‌তা বুড়ো শিব যে মাগেন আট-বছরী নাতনি,
চতর্দশী মুক্তকেশী — ক’নে নয়, সে হাত্‌নী!
পুঁটুলি নয় — এঁটুলি সে, কিংবা পুলিশ-সর্দার।।
সিঙ্গি-চড়া ধিঙ্গি মেয়ে বৌ হবে কি? বাপ্ রে!
প্রথম প্রণয়-সম্ভাষণেই হয়ত দিবে থাপ্‌ড়ে।
লাফ দিয়ে সে বাইরে যাবে ঝাঁপ খুলে ঐ পর্দার।।
সম্বন্ধ ভুলে শেষে যা-তা বলে ডাকব?
বধূ তো নয়, যদুর পিসি! কোথায় তারে রাখব?
ধর্মিণী নয়, জার্মানী শেল! গো-স্বামী, খবরদার।।
টাকাতে নয়, ভাব্‌নাতে শেষ মাথাতে টাক পড়বে,
যোদ্ধা বামা গুটিয়ে জামা কথায় কথায় লড়বে,
যেই পাবে না সেমিজ, বডিস, কৌটো পানের জর্দার।।
স্বামীকে সে বলবে নাথ, রাখ্‌বে না মান দুর্গার,
হয়ত কবে বল্‌বে, ‘পিও, ঝোল রেঁধেছি মুর্গার!’
আন্‌বে কে বাপ গুর্খা-সেপাই দন্ত-নখর-বর্দার।।
গটমটিয়ে কইবে কথা, কট্‌মটিয়ে চাইবে,
‘বামা’ সে নয়, ‘ডাইনে সে যে, ডাইনে’ সদা ধাইবে!
নিতুই নতুই চাইবে যেতে সিমলা শিলং হর্‌দ্বার।।
ভেবেছিলাম জাত নিয়েছিস, জাতিটা নয় যাক্‌গে,
গৃহিণীরূপ গ্রহণী রোগ, তাও ছিল শেষ ভাগ্যে!
দোক্ত ফেলে গিন্নি কাঁদেন, কর্তা করেন ঘর-বার।।