বাণী

আও জীবন মরণ সাথী
তুমকো ঢুঁঢাতা হ্যায় দূর আকাশ মে
			মোহনী চাঁদনী রাতি।।
ঢুঁঢাতা প্রভাত নিত গোধূলি লগন মে
মেঘ হোকে ম্যয় ঢুঁঢাতা গগন মে।
ফিরত হুঁ রোকে শাওন পবন মে।
পাত্তে মে ঢুঁঢাতা তোড়ী পাপী
শ্যামা হোকে জ্বালা ম্যয় তোহারি আঁখমে
বুঝ গ্যয়া রাতকো হায় নিরাশ মে।
আভি ইয়ে জীবন হ্যায় তুমহারি পিয়াস মে।
গুল না হো যায়ে নয়ন কি বাতি।।

বাণী

এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে এলো ঐ
অসুর সংহারিতে বাঁচাতে উৎপীড়িতে
ধ্বংস করিতে সব বন্ধন বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥
দনুজ দলনে চামুন্ডা এলো ঐ প্রলয় অগ্নি জ্বালি নাছিছে
তাথৈ তাথৈ তাতা থৈ থৈ দুর্বলে বলে মা মাভৈঃ মাভৈঃ
মুক্তি লভিবি সব শৃঙ্খল বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥
রক্ত-রঞ্জিত অগ্নি শিখায় করালী কোন্ রসনা দেখা যায়।
পাতাল তলের যত মাতাল দানব পৃথিবীতে এসেছিল হইয়া মানব
তাদের দন্ড দিতে আসিয়াছে চন্ডীকা সাজিয়া চন্ডী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে॥

বাণী

ডেকো না আর দূরের প্রিয়া থাকিতে দাও নিরালা।
কি হবে হায় বিদায়-বেলায় এনে সুধার পিয়ালা।।
সুখের দেশের পাখি তুমি কেন এলে এ বনে,
আজ এ বনে জাগে শুদু কণ্টকের স্মৃতির জ্বালা।।
মরুর বুকে কি ঘোর তৃষ্ণা বুঝিবে কি মেঘ-পরী,
মিটিবে না আমার তৃষ্ণা ঐ আঁখি-জলে বালা।।
আঁধার ঘরের আলো তুমি আমি রাতের আলেয়া,
ভোলো আমায় চিরতরে, ফিরিয়ে নাও এ ফুল-মালা।।

বাণী

	আজি ঈদ্ ঈদ্ ঈদ্ খুশীর ঈদ্ এলো ঈদ্
(যাঁর)	আসার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ।।
	শোন্ রে গাফিল, কি ব’লে তকবীর ঈদ্গাহে,
(তোর)	আমানতের হিস্‌সা সাদকা দে খোদার রাহে
	নে সাদকা দিয়ে বেহেশ্‌তে যাবার রসিদ।।
	ঈদের চাঁদের তশ্‌তরীতে জান্নাত হ’তে
	আনন্দেরি শিরনি এলো আসমানি পথে,
	সেই শিরনি নিয়ে নূতন আশায় জাগবে না উম্মিদ।।
(তোর)	পিরাহানের আতর গোলাব লাগুক রে মনে,
(আজ)	প্রেমের দাওত্ দে দুনিয়ার সকল জনে,
	দিলেন ঈদের মারফতে হজরত এই তাগিদ।।

বাণী

আসিলে এ ভাঙা ঘরে কে মোর রাঙা অতিথি।
হরষে বরিষে বারি শাওন-গগন তিতি'।।
বকুল-বনের সাকি নটীন পুবালি হাওয়া
বিলায় সুরভি-সুরা মাতায় কানন-বীথি।।
তিতির শিখীর সাথে নোটন-কপোতী নাচে;
ঝিঁঝির ঝিয়ারি গাহে ঝুমুর কাজরি-গীতি।
হিঙুল হিজল-তলে ডাহুক পিছল-আঁখি,
বধূর তমাল-চোখে ঘনায় নিশীথ-ভীতি।
তিমির-ময়ুর আজি তারার পেখম খোলে
জড়ায় গগন-গলে চাঁদের ষোড়শী তিথি।।

বাণী

আঁধারের এলোকেশ ছড়িয়ে এলে
			তুমি ধূসর সন্ধ্যা।
তোমারে অর্ঘ্য দিতে বনে ফুটিল কি তাই
			রজনীগন্ধা?
গোধূলির রং সম তব মুখ, হায়!
তরুণ হাসি কেন চকিতে মিলায়?
সহসা মহুয়া বনে চঞ্চল বায়
			হ’ল নিথর সুমন্দা।।
বিষাদ-গভীর তব নয়ন যেন নিশীথের সিন্ধু;
মুদিত কমলের দলিত দলে তুমি শিশিরের বিন্দু।
তুমি সকরুণ প্রার্থনা বেলাশেষের,
পথ-হারা পাখি তুমি দূর বিদেশের,
স্নিগ্ধ-স্রোত তুমি দূর অমরার অলকানন্দা।।