ওরে ও-স্রোতের ফুল
বাণী
ওরে ও-স্রোতের ফুল! ভেসে ভেসে হায় এলি অসহায় কোথায় পথ-বেভুল।। কোল্ খালি ক’রে কোন্ লতিকার নিভাইয়া নয়নের জ্যোতি কা’র, বনের কুকুম অকূল পাথারে খুঁজিয়া ফিরিস্ কূল।। ভবনের স্নেহ নারিল রাখিতে ঠেলে ফেলে দিল যা’রে, সারা ভুবনের স্নেহ কি কখনো তাহারে ধরিতে পারে। জল নয়, তোর জননী যে ভুঁই অভিমানী! সেথা চল্ ফিরে তুই, ধূলিতেও যদি ঝরিস্ সেথায় স্বর্গ সেই অতুল।।
বসিয়া নদী-কূলে এলোচুলে
বাণী
বসিয়া নদী-কূলে,এলোচুলে কে উদাসিনী কে এলে, পথ ভুলে, এ অকূলে বন-হরিণী।। কলসে জল ভরিয়া চায় করুণায় কুল-বধূরা, কেঁদে যায় ফুলে, ফুলে, পদমূলে, সাঁঝ-তটিনী।। দলিয়া কত ভাঙা-মন, ও চরণ, করেছ রাঙা কাঁদায়ে কত না দিল, এলে নিখিল মন-মোহিনী।। হারালি গোধূলি-লগন কবি, কোন নদী কিনারে, একি সেই স্বপন-চাঁদ, পেতেছে ফাঁদ প্রিয়ার সতিনী।।
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
বাণী
এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা — হে পথিক যাও ফিরে।। এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে — হে পথিক যাও ফিরে।। পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’। এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে — হে পথিক যাও ফিরে।। যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’ র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’ কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে — হে পথিক যাও ফিরে।।